Cyrus Mistry Death: ৯ মিনিটে পার ২০ কিমি, সিটবেল্ট পরেননি সাইরাস, ছিটকে পড়ে মাথা-হৃদযন্ত্রে আঘাত
Cyrus Mistry Accident: গুজরাতের আমদাবাদ থেকে মুম্বই ফেরার পথে পালঘরে দুর্ঘটনায় পড়ে সাইরাসের গাড়ি।
মুম্বই: মাত্র ৫৪ বছর বয়সে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে টাটা গোষ্ঠীর প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইরাস মিস্ত্রির (Cyrus Mistry Death)। মঙ্গলবার মুম্বইয়ের ওরলিতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে তাঁর। কিন্তু যে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে সাইরাসের, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছেই (Cyrus Mistry Accident)। এ বার জানা গেল, দুর্ঘটনায় মাথায় এবং হৃদযন্ত্রে গুরুতর আঘাত পান সাইরাস। তাতেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর।
মাথায় এবং হৃদযন্ত্রে আঘাত পান সাইরাস
মঙ্গলবারই সাইরাসের প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এসেছে (Autopsty Report)। তাতে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় মাথায় এবং হৃদযন্ত্রে আঘাত পান সাইরাস। এ ছাড়াও পলিট্রমার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। শরীরের অত্যাবশ্যক অঙ্গগুলিতে একাধিক আঘাত পাওয়া গেলে, তাকেই পলিট্রমা বলা হয়।
আপাতত ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টই এসেছে। আগামী দু’দিনের মধ্যে চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে পাবে পুলিশ। তাতে মৃত্যুর নির্দিষ্ট কারণ স্পষ্ট হবে বলে মনে করছে তারা। সাইরাসের শরীর থেকে মোট আটটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
গুজরাতের আমদাবাদ থেকে মুম্বই ফেরার পথে পালঘরে দুর্ঘটনায় পড়ে সাইরাসের গাড়ি। পালঘর জেলায় মুম্বই-আমদাবাদ সড়ক দিয়ে এগনোর সময় সূর্য নদীর উপর একটি সেতুতে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে মার্সিডিজ গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সাইরাস এবং তাঁর বন্ধু জাহাঙ্গির পান্ডোলের। গাড়িতে ছিলেন দরিয়স পান্ডোলে এবং তাঁর স্ত্রী, বিশিষ্ট স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ আনাহিতা পান্ডোলেও।
গাড়ি চালাচ্ছিলেন আনাহিতা। তাঁরা দু’জনে গুরুতর আহত হন। এই মুহূর্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা। পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ির পিছনের আসনে বসেছিলেন সাইরাস এবং জাহাঙ্গির। সিটবেল্ট পরেননি তাঁরা দু’জনেই। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানিয়েছে, দুরন্ত গতিতে ছুটছিল গাড়িটি। মাত্র ৯ মিনিটে ২০ কিলোমিটার পথ পেরোয়।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি ২০১৭-র মার্সিডিজ এসইউভি। তাতে সাতটি এয়ারব্যাগ ছিল। কিন্তু পিছনের আসনে শুধুমাত্র দু’পাশেই এয়ারব্যাগ ছিল। সামনের দিকে ছিল না একটিও। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সিটবেল্ট পরে না থাকায়, পিছনের আসন থেকে সামনের দিকে ছিটকে পড়েন সাইরাস। তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।
দুর্ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও, কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ি গাডি়র পিছনের আসনে বসলেও সিটবেল্ট পরা জরুরি বলে মন্তব্য করেন সোমবার। তিনি বলেন, ‘‘অনেকে ভাবেন, পিছনে বসলে সিটবেল্ট পরার দরকার নেই। ওই দুর্ঘটনা নিয়ে কোও মন্তব্য করতে চাই না। তবে সিটবেল্ট পরার দায় সামনের লোকজনের বলেই মনে করা হয়।কিন্তু গাড়ির সকলেরই সিটবেল্ট পরা উচিত।’’
ওভারটেক করতে গিয়েই দুর্ঘটনা!
তবে যে গাড়ির দুর্ঘটনায় সাইরাসের মৃত্যু হয়েছে, ওই গাড়িটির বিরুদ্ধে ট্র্যাফিক আইন অমান্য থেকে দুরন্ত গতিতে ছোটার একাধিক অভিযোগ ছিল আগে থেকেই। রবিবারও দুরন্ত গতিতে একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়েই বিপত্তি ঘটে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।