(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Foreign Funding Licence: জামিয়া, মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, বিদেশি অনুদানের লাইসেন্স হারাল ১২০০ সংস্থা
Foreign Funding Licence: গুজরাতে মিশনারিজ অফ চ্যারিটি-র শাখা সংস্থার ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে সম্প্রতি থানায় ধর্মান্তরণের অভিযোগ দায়ের হয়। তার পর ওই সংস্থার অ্যাকাউন্ট বন্ধ নিয়েও বিতর্ক দেখা দেয়।
নয়াদিল্লি: মাদার টেরিজার সংস্থাকে নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এ বার বিদেশি অনুদান পাওয়ার অধিকার হারাল দেশের প্রায় ১২০০ সংস্থা এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সেই তালিকায় রয়েছে অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া ট্রাস্ট (Oxfam India trust), জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া (Jamia Milia Islamia), ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এবং লেপ্রসি মিশনের মতো সংস্থা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, এর মধ্যে প্রায় ৬০০ সংস্থার বিদেশি অনুদান গ্রহণের লাইসেন্স (Foreign Contributions Regulation Act/ FCRA)-এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। শুক্রবারের মধ্যে তার পুনর্নবীকরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। তার পরেও লাইসেন্স-এর পুনর্নবীকরণ না করাতেই তাদের লাইসেন্স বাতিল হয়ে গিয়েছে।
বিদেশি অনুদান গ্রহণের লাইসেন্স বাতিল হওয়ার এই তালিকায় রয়েছে টিউবারকিউলোসিস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া, ইন্দিরা গাঁধী ন্যাশনাল সেন্টার ফর আর্টস এবং ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের মতো সংস্থাও। শিশুশিক্ষা এবং সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে কাজ করা অক্সফ্যাম সংস্থারও এফসিআরএ লাইসেন্স বাতিল হয়ে গিয়েছে। তবে বহু সংস্থার রেজিস্ট্রেশন অর্থাৎ নথিভুক্তিকরণই বাতিল করা হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন: India Corona : ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝে একলাফে ৩৫ শতাংশ বাড়ল দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ
শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, আপাতত দেশে ১৬ হাজার ৮২৯টি সংস্থার এফসিআরএ লাইসেন্স রয়েছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগে, ২০২২-এর ৩১ ডিসেম্বর লাইসেন্সের পুনর্নবীকরণ করিয়ে নিয়েছে তারা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এফসিআরএ-র আওতায় দেশের মোট ২২ হাজার ৭৬২ সংস্থা নথিভুক্ত রয়েছে। বিদেশি অনুদান পেতে গেলে, তা থাকা আবশ্যক। নইলে সংস্থার তহবিলে বিদেশ থেকে টাকা ঢুকবে না। ফলে ভারতে যে সমস্ত সামাজিক কাজে যুক্ত তারা, তার জন্য প্রযোজনীয় অর্থের জোগানে টান পড়বে।
সন্ত মাদার টেরিজার সংস্থা মিশনারিজ অফ চ্যারিটি-র (Missionaries of Charity) বিদেশি অনুদানের অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়া নিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। গুজরাতে মিশনারিজ অফ চ্যারিটি-র শাখা সংস্থার ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে সম্প্রতি থানায় ধর্মান্তরণের অভিযোগ দায়ের হয়। তার পরই এই বিতর্ক সামনে আসে। তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়।