Gold Smuggling: অন্তর্বাসের মধ্যে লুকিয়ে অভিনব উপায়ে ভারতে সোনা পাচারের আন্তর্জাতিক চক্র ফাঁস
সোনা পাচার করা হতো পেস্টের আকারে, যে কারণে বিমানবন্দরে বসানো মেটাল ডিটেক্টর বা স্ক্যানার বা এক্স-রে মেশিনে ধরা পড়ে না...
নয়াদিল্লি: অন্তর্বাসের মধ্যে লুকিয়ে পেস্টের আকারে সোনা চোরাচালানকারী একটি আন্তর্জাতিক চক্রের পর্দাফাঁস হল।
গোয়েন্দারা জানান, ওই চক্র মহিলাদের নিয়োগ করত। তাঁদের মাধ্যমে বিদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচার করাত। জানা গিয়েছে, ওই মহিলাদের বিশেষভাবে তৈরি অন্তর্বাস পরতে দেওয়া হতো। যার মধ্যে লুকিয়ে রাখা হতো সোনার পেস্ট।
সম্প্রতি, লখনউ বিমানবন্দরে এমনই এক মহিলাকে পাকড়াও করে কাস্টমস। গোয়েন্দাদের কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল, ৩৯ বছরের ওই মহিলা আন্তর্জাতিক সোনা পাচারকারী চক্রের সঙ্গে যুক্ত।
বেরনোর সঙ্গে সঙ্গে ওই মহিলাকে পাকড়াও করা হয়। তল্লাশিতে তাঁর অন্তর্বাসের মধ্যে থেকে বিশেষভাবে লুকিয়ে রাখা প্রায় ১,২৫৯ গ্রাম সোনার পেস্ট উদ্ধার করা হয়।
লখনউ বিমানবন্দরে কর্মরত এক কাস্টমস আধিকারিক জানান, ওই মহিলা দিল্লির বাসিন্দা। তিনি গতকাল দুবাই থেকে বিমানে লখনউ অবতরণ করেন।
তল্লাশিতে মহিলার অন্তর্বাসের সঙ্গে সাঁটানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে হলুদ পেস্ট উদ্ধার হয়। মহিলাকে আদালতে তোলা হলে, তাঁকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
কীভাবে কাজ করত চক্রটি?
কাস্টমসের ওই আধিকারিক জানান, মহিলা ক্যুরিয়ারদের যাত্রী সাজিয়ে ভারত থেকে দুবাইতে পাঠানো হতো। সেখান থেকে ওই মহিলাদের অন্তর্বাসে বিশেষভাবে সোনার পেস্ট লুকিয়ে তাঁদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হত।
গোয়েন্দারা জানান, ওই মহিলা ক্যুরিয়াররা মাঝেমধ্যেই সংষুক্ত আরব আমিরশাহি যেতেন এবং বিভিন্ন বিমানবন্দর দিয়ে ফেরত আসতেন। যেমন, এদিন গ্রেফতার হওয়া মহিলা বহুবার দুবাই গিয়েছেন। এর আগে, তিনি একবার দিল্লিতেও অবরতণ করেছিলেন বলে তাঁর পাসপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে।
ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স-এর এক কর্তা জানান, সোনার পেস্ট বিমানবন্দরে বসানো মেটাল ডিটেক্টর বা স্ক্যানার বা এক্স-রে মেশিনে ধরা পড়ে না।
পাচারকারীরা, সোনাকে বিভিন্ন রাসায়নিকের সঙ্গে মিশিয়ে এই বিশেষ যৌগ তৈরি করে। এখানে আসার পর সেই পেস্ট থেকে আবার বিশেষ উপায়ে সোনা বের করা হয়। প্রতি ১০০০ গ্রাম ওই পেস্টের মধ্যে থেকে ৭০০ গ্রাম খাঁটি সোনা মেলে।
এই প্রথম নয়। এর আগে ১৪ জানুয়ারি শারজা থেকে আসা দুই মহিলাকে ম্যাঙ্গালোর বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছিল। তাঁদের কাছ থেকেও প্রায় ১ কোটি টাকা মূল্যের সোনার পেস্ট উদ্ধার হয়েছিল। সেক্ষেত্রেও, সোনা লুকানো ছিল মহিলাদের অন্তর্বাসের মধ্যে।
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ওই চক্রের কিংপিনের খোঁজ করা হচ্ছে। কতজন মহিলা এই পাচারের সঙ্গে যুক্ত, তাও জানার চেষ্টা চলছে।