Uttarakhand CM Resignation: উত্তরাখণ্ডে অস্বস্তিতে বিজেপি, ইস্তফা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী রাওয়াত
বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন জিততে যখন পুরো দস্তুর ঝাঁপিয়েছে বিজেপি, তখন উত্তরাখণ্ডে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হল গেরুয়া শিবিরকে। পদত্যাগ করলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াত। মঙ্গলবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যেপালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
নয়াদিল্লি: বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন জিততে যখন পুরো দস্তুর ঝাঁপিয়েছে বিজেপি, তখন উত্তরাখণ্ডে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হল গেরুয়া শিবিরকে। পদত্যাগ করলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াত। মঙ্গলবার রাজভবনে গিয়ে রাজ্যেপালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।
বেশ কিছুদিন ধরেই রাওয়াতের ইস্তফা দেওয়া নিয়ে জল্পনা চলছিল। সোমবার দিল্লিতে জে পি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন রাওয়াত। তারপর থেকে তাঁর পদত্যাগের জল্পনা আরও জোরাল হয়। সূত্রের খবর, দলের অন্দরেই তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমা হচ্ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগও জমা পড়েছিল বলে খবর।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজ্যপাল বেরিরানি মৌর্যর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন রাওয়াত। সূত্রের খবর, আপাতত দায়িত্ব সামলাবেন রাওয়াতেরই মন্ত্রী ধন সিংহ রাওয়াত। গাড়োয়াল থেকে বিকেলেই রাজধানী দেহরাদূনে যাওয়ার কথা রয়েছে ধন সিংহের। আগামী বছর নির্বাচন উত্তরাখণ্ডে। তার আগেই বিজেপির কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। সূত্রের খবর, ত্রিবেন্দ্রর ভূমিকায় অসন্তুষ্ট ছিলেন অনেক বিধায়ক। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছিল। এরপরই নড়েচড়ে বসে বিজেপি নেতৃত্ব।
শনিবার দুই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক রমন সিংহ ও দুষ্মন্ত গৌতমকে উত্তরাখণ্ডে পাঠিয়েছিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁরা সকল পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। জে পি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গেও কথা বলেছিলেন রাওয়ত। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার পরেই ইস্তফা দিলেন রাওয়াত।
আগামীকালই মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা ঠিক করবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শোনা যাচ্ছে দৌড়ে এগিয়ে ত্রিবেন্দ্রর মন্ত্রিসভারই সদস্য ধন সিংহ রাওয়াত। তাঁকে ত্রিবেন্দ্রর জায়গায় বসানো হতে পারে বলে খবর। ১১ মার্চ সকাল ১১টায় উত্তরাখণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেবেন বলে বিজেপির বিশ্বস্ত একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে। ত্রিবেন্দ্রর বিরুদ্ধে একাধিক বিধায়কের অভিযোগের জেরেই এই পদত্যাগ বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে আলোচনা সেরেছেন জে পি নাড্ডা।