Indrani Halder Exclusive: 'পাটাতন ভেঙে জলে ডুবে যাচ্ছি, হাত বাড়িয়ে ডাকলাম..শ্যামলী..'
ফেলে আসা দীর্ঘ অভিনয় জীবনকে ফিরে দেখলে মনে পড়ে কত রঙিন স্মৃতি। এবিপি লাইভের সঙ্গে আড্ডায় রুপোলি পর্দার সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার।
কলকাতা: 'শ্রীময়ী' থেকে শুরু করে 'দহন', বড়পর্দা আর ছোটপর্দায় অবাধ যাতায়াত তাঁর। তবে বর্তমানে ছোটপর্দাই একের পর এক সাফল্য এনে দিয়েছে তাঁকে। তবে দীর্ঘদিন পরে 'কুলের আচার' ছবির হাত ধরে বড়পর্দায় ফিরছেন তিনি। ফেলে আসা দীর্ঘ অভিনয় জীবনকে ফিরে দেখলে মনে পড়ে কত রঙিন স্মৃতি। তার কিছু আনন্দের আবার কিছু দুর্ঘটনারও। তবে স্মরণীয় তো বটেই। এবিপি লাইভের সঙ্গে আড্ডায় রুপোলি পর্দার সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার (Indrani Haldar)।
দর্শকদের ভালোবাসা, উন্মাদনা, শুভেচ্ছা, সমস্ত কিছু তাঁকে এনে দিয়েছে রুপোলি পর্দাই। ফিরে দেখলে সবচেয়ে মনে পড়ে কোন ছবির শ্যুটিংয়ের ঘটনা? এবিপি লাইভের প্রশ্নের উত্তরে ইন্দ্রাণী বলছেন, 'প্রথম যে ছবিটার কথা মনে পড়ে, সেটা 'ফালতু'। অঞ্জনদার পরিচালনায় কাজ করেছিলাম। মুর্শিদাবাদে শ্যুটিং চলছিল। ছবিতে আমার চরিত্রটা ছিল একজন পাগলীর। দৃশ্যটা কিছুটা এরকম, আমি পুকুরের জলে নেমে স্নান করছি। তারপর দেবেশদা (দেবেশ চট্টোপাধ্যায়) এসে জল থেকে আমায় তুলে নিয়ে যাবেন। আমি সাঁতার জানি না। তাই জলের নিচে আমার দাঁড়ানোর জন্য একটা পাটাতন তৈরি করা হয়েছিল। কথা ছিল সেই পাটাতনের ওপর দিয়ে হেঁটে খানিকটা জলে নামব আমি। সবার তার ওপর দিয়ে হেঁটে পরীক্ষা করে নিল। তারপর আমি শট দেওয়ার জন্য রেডি হলাম। আমার হেয়ার ড্রেসার শ্যামলী খুব ভয় পাচ্ছিলেন। বার বার বলছিলেন, 'মামনি কিন্তু সাঁতার জানে না।' ক্যামেরা গাছের ওপরে বাঁধা, সবাই অনেকটা দূরে। আমি কয়েক পা হাঁটতেই পাটাতনসুদ্ধ ভেঙে জলের তলায়। তলিয়ে যাওয়ার আগে হাত তুলে একবার শ্যামলীকে ডাকতে পেরেছিলাম শুধু। শ্যামলী জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার চুলের মুঠি ধরে টেনে এনেছিল পাড়ে। সেদিন ও আমায় মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচিয়েছিল।' একটু থামলেন ইন্দ্রাণী। তারপর বললেন, 'তারপর কিন্তু আমি আবার সেই শটটা দিয়েছিলাম। আবার রেডি হয়ে.. তখন সব ঠিক হয়েছিল। এক টেকেই শট ওকে।'