Jharkhand News: জঙ্গি সন্দেহে ঝাড়খণ্ড ATS-র হাতে গ্রেফতার গুলফাম, সেহজাদ, শবনম-সহ ৪ ! কাশ্মীর হামলার পর কড়া নজর দেশের..
Kashmir Attack Jharkhand ATS arrested 4: হিযবুত তাহরীর, AQIS ও ISIS-এর সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে এক মহিলা সহ চারজনকে গ্রেফতার করল ঝাড়খণ্ড ATS !

নয়াদিল্লি: কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পর কড়া নজর দেশজুড়ে। এবার হিযবুত তাহরীর, AQIS ও ISIS-এর সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে এক মহিলা সহ চারজনকে গ্রেফতার করল ঝাড়খণ্ড ATS। ধৃতরা অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা এবং দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে ATS। ধৃত গুলফাম হাসান, অয়ন জাভেদ, সেহজাদ আলম ও শবনম পারভিনের কাছ থেকে দু'টি পিস্তল, ১২টি কার্তুজ, ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ও নিষিদ্ধ সংগঠনের মালা উদ্ধার করা হয়েছে। UAPA আইনে ২০২৪ সালে হিযবুত তাহরীকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, তারপর থেকে দেশে এটি প্রথম মামলা বলে জানিয়েছে ঝাড়খণ্ড পুলিশ।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, এবার সন্ত্রাসবাদীদের বেঁচে থাকা জমিটুকুও মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে। বিকেলে রাষ্ট্রপতির কাছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী!সন্ধেয় সর্বদল বৈঠক। যেখানে কার্যত ভুল মেনে নিল কেন্দ্র। পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে, বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে, বৈঠকে বসে সব দল। সূত্রের দাবি, সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, এটা স্পষ্ট, যে কিছু ভুল হয়েছে। কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তা আমরা বিরোধীদের বলতে চাই এবং আশ্বস্ত করতে চাই।
বিরোধী দলগুলো এই ইস্য়ুতে কেন্দ্রের পাশে থাকার আশ্বাস বার্তা দিয়েছে। লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, 'যা ঘটেছে সেটাকে সবাই নিন্দা করেছেন। বিরোধীরা পুরো সমর্থন করেছে সরকারকে যে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে।' সূত্রের দাবিতৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা কেন্দ্রের সঙ্গে আছি। জঙ্গিদের নিশ্চিহ্ন করার লড়াইয়ে দেশকে ঐক্য়বদ্ধ থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর উচিত সব দলের প্রধানদের নিয়ে বৈঠক ডাকা।
সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেন, সবাই উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। সব রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মতামত রেখেছে। একটা বিষয় সামনে এসেছে, দেশকে একজোট এবং এক স্বরে বলতে হবে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে ভারতকে লড়তে হবে, এটা সবাই মেনে নিয়েছে। তবে কাশ্মীরে নিরাপত্তায় খামতির যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়েও সর্বদল বৈঠকে সরব হতে ছাড়েনি বিরোধী দলগুলো। যদিও, কেন্দ্র এনিয়ে দায় চাপিয়েছে স্থানীয় ট্য়ুর অপারেটরদের ঘাড়ে। সূত্রের দাবি, সর্বদল বৈঠকে বিরোধীদের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়।
নিরাপত্তাবাহিনী কোথায় ছিল?
এর জবাবে সরকারের তরফে বলা হয় স্থানীয় আধিকারিকরা এই এলাকা খুলে দেওয়ার আগে খবর দেননি। যা করা উচিত ছিল। স্থানীয় পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়নি। সাধারণত এই এলাকা অমরনাথ যাত্রার সময় জুন মাসে খোলা হয়। কিন্তু, স্থানীয় ট্য়ুর অপারেটররা এটা এখনই খুলে দেন। সূত্রের দাবি, বিরোধীরা আরও প্রশ্ন তোলে, সাহায্য় পৌঁছোনে এত সময় লাগল কেন? যার প্রেক্ষিতে সরকারের তরফে বলা হয়,ওখানে পৌঁছোতে সময় লাগে। ৪৫ মিনিট হেঁটে যেতে হয়। কোনও ব্য়বস্থাই ছিল না। বিরোধীদের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, গোয়েন্দা এজেন্সি কোথায় ছিল? সরকারের তরফে জবাবে বলা হয়, কোথাও ভুল হয়েছে। সেটা খুঁজে বার করতে হবে।





















