পড়ুয়াদের ভ্যাকসিনেশনের উদ্যোগ যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের
ভ্যাকসিনেশন ও অবিলম্বে ক্লাস চালুর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সি, দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও সমিত সেনগুপ্ত, কলকাতা: যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের ভ্যাকসিনেশনের জন্য তথ্য জমা দিতে বলল কর্তৃপক্ষ। নোটিস জারি করে এ বিষয়ে পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন সংক্রান্ত তথ্য জমা দিতে বলা হল। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের পর অবস্থান প্রত্যাহার করেছে প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। যদিও দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাই জানিয়েছেন, দ্রুত ক্লাস চালুর দাবিতে তাঁদের আন্দোলন চলবে।
ভ্যাকসিনেশন ও অবিলম্বে ক্লাস চালুর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সি, দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা। দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষই পড়ুয়াদের ভ্যাকসিনেশনের উদ্যোগ নিল।
শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ভ্যাকসিনেশন নিয়ে সার্কুলার দেওয়া হয়। সেখানে পড়ুয়াদের বলা হয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিনেশন সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে নির্দিষ্ট একটি ফর্ম ফিল আপ করতে হবে।
প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজ্য সরকার পড়ুয়াদের ভ্যাকসিনেশনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তালিকা চেয়েছে। সেই কারণে পডুয়ারা যেন দ্রুত তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন। কর্তৃপক্ষ ভ্যাকসিনেশন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারির পর তাদের ৯৬ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংসদ।
তবে পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, ক্লাস চালুর দাবিতে তাঁদের আন্দোলন চলবে। যাদবপুরের পড়ুয়ারাও ক্লাস চালুর দাবিতে অবস্থান আন্দোলনে নেমেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রস্তুতি এগিয়ে রাখতে এদিন যাদবপুরের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন উপাচার্য সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানিয়েছেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে এদিনই বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান, চিফ লাইব্রেরিয়ান সহ আধিকারিকদের নোটিস পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে রাখতে বলা হয়েছে। লাইব্রেরি থেকে বই ইস্যু করার প্রক্রিয়াও শুরু করার কথা বলা হয়েছে নোটিসে।
প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংসদের দাবি, লাইব্রেরির বই ইস্যু করার বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষও। মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছেন, পুজোর পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি খোলার সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। সেই সিদ্ধান্ত কবে নেওয়া হয়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে পড়ুয়ারা।