Mamata on Suvendu Adhikari: 'তথ্য থাকলেও এফআইআর করা যাবে না? ভগবানের জ্যেষ্ঠপুত্র?’, শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ নিয়ে প্রশ্ন মমতার
তৃণমূলকে হয়রানির অভিযোগ ও অন্যদিকে নাম না করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে কলকাতা হাইকোর্টের রক্ষা কবচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী।
কলকাতা: ভবানীপুর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার পরে চেতলায় প্রথম কর্মিসভা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর এই কর্মিসভা থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি ব্যবহারের অভিযোগও সরব হলেন মমতা। তৃণমূলকে হয়রানির অভিযোগ ও অন্যদিকে নাম না করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে কলকাতা হাইকোর্টের রক্ষা কবচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। তাঁর প্রশ্ন, খুনের মামলায় তথ্য থাকলেও এফআইআর করা যাবে না? ‘কেন এফআইআর করা যাবে না? ভগবানের জ্যেষ্ঠপুত্র?’
উল্লেখ্য, মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ।তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া, পাঁচটি এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তার প্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কাঁথিতে প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষীর খুনের মামলা,নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক সংঘর্ষের মামলা এবং পাঁশকুড়ায় সোনার হার ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
Mamata Banerjee: ‘ক্ষমতা থাকলে এখানে ডাকুন, কোন উদ্দেশে দিল্লিতে তলব?’, সুর চড়ালেন মমতা
বিচারপতি রাজশেখর মান্থা গত সোমবার নির্দেশ দেন, মানিকতলা থানায় চাকরির নামে প্রতারণা ও তমলুকে পুলিশ সুপারকে হুমকি সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে শুভেন্দু অধিকারীকে।তবে কোনও মামলাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না।আদালতের অনুমতি ছাড়া, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না পুলিশ ও সিআইডি।ভবিষ্যতেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও মামলা হলে, আদালতের নির্দেশ ছাড়া কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে রাজ্য সরকার। আদালতের অনুমতি নিয়ে রাজ্যের তরফে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করা হয়েছে।
আদালতের এই রক্ষাকবচ দেওয়া নিয়েই এদিন নাম না করে কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, এর আগে নারদ মামলায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, সবাই জানে ক্যামেরার সামনে যারা হাত পেতে টাকা নেয়, তাদের বিরুদ্ধে তদন্তকারী সংস্থা ব্যবস্থা নেয় না। কারণ তারা একটা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়লেই নিগ্রহের শিকার হতে হবে।