পুলিশ খুন করে পুলিশ পরিচয় দিয়েই সল্টলেকের গেস্ট হাউসে গা ঢাকা দুই গ্যাংস্টারের
ধৃত ভরত কুমারকে জেরা করে এ রাজ্যে দুই গ্যাংস্টারের রুটম্যাপ তৈরি করছে পুলিশ।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: এবার নিউটাউন শ্যুটআউটকাণ্ডে সামনে এল নতুন তথ্য। পুলিশ খুন করে পুলিশ পরিচয় দিয়েই সল্টলেকের একটি গেস্ট হাউসে লুকিয়েছিল পঞ্জাবের দুই কুখ্যাত গ্যাংস্টার। ধৃত ভরত কুমারকে জেরা করে এ রাজ্যে দুই গ্যাংস্টারের রুটম্যাপ তৈরি করছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, জেরায় ভরত কুমার জানিয়েছেন, নিউটাউনের সুখবৃষ্টি আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার আগে সল্টলেকের সেক্টর টু-তে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সংলগ্ন একটি গেস্ট হাউসে ওঠে ভুল্লার ও তার সঙ্গী জসপ্রীত। সেখানে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দেয় তারা। গেস্ট হাউসের ঘরটিকে সিল করে দিয়েছে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গেস্ট হাউসের রেজিস্টার ও সিসিটিভি ফুটেজ। পঞ্জাবে গিয়ে সুমিত কুমারকে জেরা করছে বিধাননগর কমিশনারেটের একটি দল।
পুলিশ সূত্রে খবর একাধিক তথ্যের খোঁজ চালানো হচ্ছে। গ্বালিয়র থেকে এ রাজ্যে এসে দুই গ্যাংস্টার কোথায় গেছিল? কাদের সঙ্গে দেখা করেছিল?এইসব তথ্য জানতেই চলছে জেরা। এই তথ্যের ভিত্তিতেই এগোবে তদন্ত। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, জয়পাল সিং ভুল্লার ও জসপ্রীতের লিঙ্কম্যান ভরত কুমারকে জেরা করে জানা যায়, গ্বালিয়র থেকে ২০ মে কলকাতায় আসে পঞ্জাবের দুই গ্যাংস্টার। ২৩ তারিখ নিউটাউনের সুখবৃষ্টি আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার আগে, সল্টলেকে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সংলগ্ন একটি গেস্ট হাউসে ওঠে তারা। সেখানেই তিনদিন ছিল জয়পাল ও জসপ্রীত।
এদিকে, এনকাউন্টারকাণ্ডের তদন্তে বিধাননগর পুলিশের একটি টিম এখন পঞ্জাবে রয়েছে। বুধবার আরেক ধৃত সুমিত কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলায় গ্যাংস্টারদের আর কোনও লিঙ্কম্যান আছে কিনা তা জানতেই জেরা করা হয়। এদিকে পঞ্জাব পুলিশের অর্গানাইজড ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিট বা OCCU সূত্রে খবর, ভরত ও সুমিত কুমারের সঙ্গে যাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাদের মোবাইল ফোন এখন বন্ধ। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। গ্যাংস্টারদের লিঙ্কম্যান ভরত কুমারকে ইতিমধ্যেই জেরা করেছে দুই রাজ্যের পুলিশ। এনকাউন্টারকাণ্ডে আরও তথ্য পেতে তাকে আরও জেরা করা হবে বলে জানা গেছে।