ঠাকুরের ছবিতে নিত্যদিন পুজোর বহর! সেই দেবতাদেরই ছবির পিছনেই চলছিল মাদক পাচার!
ঠাকুরের ছবির আড়ালে মাদক পাচার, সন্দেহ এড়াতে চলছিল নিত্যদিনের পুজোপাঠ

নয়া দিল্লি: এ যেন ক্রাইম থ্রিলারের চিত্রনাট্য। সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে। মাদক পাচারের জন্য ঈশ্বরের ছবির নেপথ্যে কাজ চালানোর মতো ভাবনা রেখেই এই কাজ করেছিল একটি পাচারকারী দল। পুলিশ জানিয়েছে, হিন্দু দেবদেবীদের ছবির ফ্রেমের আড়ালে মাদক লুকিয়ে রাখার এবং ধরা এড়াতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করার অভিযোগে এক মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত, যার নাম রোহন সিং, হায়দ্রাবাদের ধুলপেট এলাকা থেকে ধরা পড়ে। সে দেবতাদের ছবির ফ্রেমের আড়ালে গাঁজা লুকিয়ে রেখেছিল এবং সন্দেহ দূর করার জন্য পুজোও করেছিল। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘দুষ্কৃতীরা গাঁজাকে লুকোতে ঠাকুরের ছবিকে মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছিল। সাধারণত এই ধরনের ব্যাগে কেউ সন্দেহ করে না। সেই সুযোগেই পাচারকারীরা চালান চালাতে চাইছিল।’’
এই ধরনের অভিনব পদ্ধতি ইঙ্গিত দেয় যে পাচারকারী চক্রটি দীর্ঘদিন ধরেই পরিকল্পিতভাবে এই কাজ চালিয়ে আসছে। যদিও গোপন সূত্রে খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশের অভিযানের সময়, অফিসাররা ছবির ফ্রেমের আড়ালে সাবধানে লুকনো ১০ কেজি গাঁজা খুঁজে পান।
একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, খবরের কাগজের রোলে ঢাকা গাঁজার বেশ কয়েকটি প্যাকেট ঠাকুরের প্রতিকৃতির আড়ালে লুকনো আছে। অভিযুক্তরা ওড়িশা থেকে মাদকগুলি সংগ্রহ করেছিল বলে জানা গেছে। পুলিশের মতে, সিং ধুলপেট থেকে হায়দ্রাবাদের বিভিন্ন স্থানে, যার মধ্যে গাছিবাউলিও ছিল, গাঁজা সরবরাহ করত। তাদের বিশ্বাস এটি কোনও বিচ্ছিন্ন অভিযান নয় বরং একটি বৃহত্তর চোরাচালান নেটওয়ার্কের অংশ।
এদিকে, বীরভূমের রামপুরহাটে ধরা পড়ল এমনই অভিনব গাঁজা পাচারচক্র। অভিযুক্ত তিন দুষ্কৃতীর মধ্যে দু’জন স্থানীয় এবং একজন বাইরের রাজ্যের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বহরমপুর থেকে সিউড়ি হয়ে ঝাড়খণ্ডগামী একটি বাসে চেপে আসে তিন পাচারকারী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রামপুরহাট থানার পুলিশ তৎপর হয়ে অভিযান চালিয়ে বাস থামিয়ে ওই তিনজনকে আটক করে। তাঁদের ব্যাগ তল্লাশি করে দেখা যায়, ঠাকুরের ছবির পিছনে গাঁজা লুকোনো রয়েছে। পুলিশের অনুমান, এই গাঁজা ঝাড়খণ্ডে পাচার করা হচ্ছিল। কারণ কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হচ্ছে ঝাড়খণ্ডের বিখ্যাত শ্রাবণী মেলা। সারা দেশ থেকে হাজার হাজার সাধু-সন্ত সেখানে জড়ো হন, যাঁদের মধ্যে অনেকেই গাঁজা সেবন করে থাকেন। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই ওই এলাকায় গাঁজা ছড়ানোর পরিকল্পনা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।






















