Manipur Violence: আবারও হিংসার আগুনে জ্বলে উঠল মণিপুর, মেইতেই-কুকিদের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ, চলল গুলি, অগ্নিসংযোগ
Manipur Horror: আতঙ্কে গ্রাম ছাড়তে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যত্র আশ্রয়ের খোঁজে ঘুরছেন তাঁরা।
![Manipur Violence: আবারও হিংসার আগুনে জ্বলে উঠল মণিপুর, মেইতেই-কুকিদের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ, চলল গুলি, অগ্নিসংযোগ Manipur Fresh violence erupts two districts houses set on fire know all details Manipur Violence: আবারও হিংসার আগুনে জ্বলে উঠল মণিপুর, মেইতেই-কুকিদের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ, চলল গুলি, অগ্নিসংযোগ](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/07/27/f8ec948407d543b434b3492b93d52b811690451416384338_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
নয়াদিল্লি: আবারও নতুন করে হিংসার আগুন মণিপুরে। বৃহস্পতিবার আবারও গুলি চলল এলোপাথাড়ি। নতুন করে ফের মেইতেই এবং কুকিদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধেছে বলে মিলছে খবর। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলেছে বিষ্ণুপুর জেলায়। একাধিক বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। আতঙ্কে গ্রাম ছাড়তে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অন্যত্র আশ্রয়ের খোঁজে ঘুরছেন তাঁরা। (Manipur Violence)
বুধবার রাত থেকেই নতুন করে গুলিবর্ষণ, সারারাত গুলি চলেছে
বিষ্ণুপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বুধবার রাত থেকেই নতুন করে গুলিবর্ষণ শুরু হয়েছে। সারারাত গুলি চলেছে। আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরনো তো দূর, খাবার পর্যন্ত মুখে দিতে পারেননি কেউ। মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতিকে ২০০২ সালের গুজরাতের সঙ্গে তুলনা করেছেনরাজ্যে সিপিএম-এর সাধারণ সম্পাদক এমভি গোবিন্দন। তাঁর বক্তব্য, “মণিপুরে হত্যা এবং দাঙ্গা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গুজরাত গণহত্যারই পরবর্তী অধ্যায় এটি।” (Manipur Horror)
এর আগে, বুধবারও একদফা অশান্তি হয় মণিপুরেরএকাধিক জায়গায়। মোরে জেলায় কমপক্ষে ৩০টি বাড়িঘর, দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গেও গুলি বিনিময় হয় দুষ্কৃতীদের। তার জেরে মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত মোরে বাজার এলাকা সম্পূর্ণ খালি করে দেওয়া হয়েছে। বাাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র সরে গিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: PM Modi: ‘দেশের শত্রুর মতোই আচরণ, UPA থেকে INDIA হয়েছে কারণ...,’ ফের বিরোধীদের আক্রমণ মোদির
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অগ্নিসংযোগের পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। হামলাকারীদের সরানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। তাতে দু'পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। মঙ্গলবার আবার নিরাপত্তাবাহিনীর দু'টি বাসেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কাংপোকপি জেলায়। কারও প্রাণহানি হয়নি যদিও, তবে নিরাপত্তাবাহিনীর বাসে অগ্নিসংযোগে আতঙ্ক ছড়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যেও। এক নাবালক-সহ মোট ন'জনকে গ্রেফতার করা হয় এই ঘটনায়।
মণিপুরে হিংসায় বিরাম নেই, ১৬০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু
গত তিন মাস ধরে হিংসার আগুনে জ্বলছে মণিপুর। অগ্নিসংযোগ, লুঠ, নারী নির্যাতনও চলছে অবাধে। সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৬০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, মার খেয়ে অসুস্থ, এমন মানুষের সংখ্যা অগণিত। মণিপুরে অশান্তির এই আঁচ ছড়িয়েছে গোটা দেশে। সংসদের বাদল অধিবেশন উত্তাল হয়ে উঠেছে আগাগোড়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতির দাবি তুলছেন বিরোধীরা।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)