Election Commission: গোটা দেশে একই সঙ্গে SIR, পুজো মিটলেই… শীঘ্রই ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন
Special Intensive Revision: আনুষ্ঠানিক ভাবে দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি এখনও পর্যন্ত।

নয়াদিল্লি: বিহার থেকে সূচনা হয়েছে। আগামীতে অন্য রাজ্যেও হবে। আগেই এই মর্মে বার্তা মিলেছিল। আবার জানা গেল, অক্টোবর মাস থেকেই দেশের সর্বত্র ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনের (SIR) কাজ শুরু হতে চলেছে। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন কমিশন এমনই প্রস্তাব তুলে ঘরে এবং সকলের তরফে তাতে সবুজ সঙ্কেতও মিলেছে বলে খবর। (Election Commission)
আনুষ্ঠানিক ভাবে দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি এখনও পর্যন্ত। তবে গোটা দেশে একই সঙ্গে SIR হবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। বুধবার সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক হয় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের। গোটা দেশে SIR চালাতে গেলে কী কী করণীয়, প্রস্তুতি কেমন হতে হবে, সেই নিয়ে বিশদ আলোচনা হয় বৈঠকে। (Special Intensive Revision)
ভোটার তালিকার মর্যাদা রক্ষা করতে গোটা দেশে SIR হবে বলে আগেই জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সেই মর্মে গত ২৪ জুন বিবৃতিও দেয় তারা। সেই সময় জানানো হয়, বিহারে যেহেতু চলতি বছরেই বিধানসভা নির্বাচন, তাই সেখান থেকেই SIR-এর সূচনা হয়েছে। ধাপে ধাপে অন্য় রাজ্যগুলিতেও ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধন ঘটানো হবে। তবে ধাপে ধাপে নয়, এবার গোটা দেশে একই সঙ্গে SIR করানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হল।
STORY | EC to take call on pan-India SIR rollout soon; like to be held by year-end
— Press Trust of India (@PTI_News) September 10, 2025
The Election Commission will soon decide on the date to rollout special intensive revision on a pan-India basis and the exercise to clean up the voter list across states may take place before the… pic.twitter.com/8pXY4UjXFm
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বিহারে বিধানসভা নির্বাচন মেটার আগেই এ নিয়ে ঘোষণা হতে পারে। কত তাড়াতাড়ি SIR করা যেতে পারে, সেই নিয়ে এদিন মতামতও চাওয়া হয়। সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক প্রস্তুতি সেরে ফেলা যেতে পারে বলে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে জানান আধিকারিকরা। সেই মতো অক্টোবর মাসে গোটা দেশে SIR করায় বাধা থাকবে না।
এদিন প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। সেখানে নথিপত্রের তালিকাও প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আধিকারিকদের বলা হয়, স্থানীয় এলাকায় যে সব নথি গৃহীত হয়, যে সব নথি সহজেই পাওয়া যায়, সেগুলিকে প্রাধান্য় দিতে হবে। যেমন, যে সমস্ত রাজ্যে জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন, উত্তর-পূর্ব এবং উপকূলের রাজ্যগুলিতে বিসেষ ধরনের পরিচয়পত্র ও বসবাসের প্রমাণপত্র থাকে। স্বতন্ত্র অঞ্চলেও আলাদা শংসাপত্র দেওয়া হয়। তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে সেগুলিকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
তবে বিহারে SIR করা নিয়ে কম বিতর্ক নেই। ভোটারতালিকা থেকে ৬৫ লক্ষ মানুষের নাম বাদ দেওয়া নিয়ে যেমন প্রশ্নের মুখে পড়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন, তেমনই নথিপত্র যাচাইয়ের পদ্ধতি, সময়সীমা নিয়েও প্রশ্নের মুখের পড়তে হয় তাঁদের। এমনকি নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য যে সব নথি চাওয়া হয়, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও সমালোচিত হয় তারা। ভোটার তালিকায় নাম রাখার ক্ষেত্রে কেন আধার কার্ড গৃহীত হবে না, প্রশ্ন তোলে শীর্ষ আদালত। শেষ পর্যন্ত আধারকে বৈধ নথি হিসেবে ধরতে রাজি হয় কমিশন।






















