Odisha News : অধ্যাপকের যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে মুখ খুলে হয়নি লাভ, গায়ে আগুন দিয়েছিলেন ছাত্রী, তিন দিনে সব শেষ
সকলের চোখের সামনেই দাউ দাউ করে পুড়তে থাকেন তিনি। কোনও ভাবেই রক্ষা করা যায়নি । মুহূর্তের দেহের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ পুড়ে যায় তাঁর।

ভূবনেশ্বর : অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আশা করেছিলেন সুবিচারের। কিন্তু 'সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়ায়'কলেজ ক্যাম্পাসেই গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। সকলের চোখের সামনেই দাউ দাউ করে পুড়তে থাকেন তিনি। কোনও ভাবেই রক্ষা করা যায়নি । মুহূর্তের দেহের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ পুড়ে যায় তাঁর। হাসপাতালে চলছিল মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা। শেষরক্ষা হল না। সবরকম চিকিৎসা ব্যবস্থা করা সত্ত্বেও চলে গেলেন প্রতিবাদী তরুণী।
ওড়িশার ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। বালাসোরের ফকির মোহন স্বায়ত্তশাসিত কলেজে বি.এড প্রোগ্রামে পাঠরত ছিলেন ওই ছাত্রী । গত ১ জুলাই তিনি তাঁর বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সমীর কুমার সাহুর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন। লিখিত অভিযোগ জানান কলেজের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটির কাছে। তিনি জানান, তাঁর উপর কয়েক মাস ধরে যৌন নির্যাতন জানিয়েছেন ওই অধ্যাপক। তারপর দিতেন হুমকি। পাঁচকান হলে পরিণতি হতে পারে ভয়ঙ্কর, এই হুমকি দেওয়া হত তাঁকে। সে কথাও অভিযোগপত্রে লিখেছেন তিনি। কিন্তু অভিযোগ, অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এরপর গত ১২ জুলাই, অভিযোগকারিণী এবং আরও বেশ কয়েকজন ছাত্রী কলেজ গেটের বাইরে বিক্ষোভ শুরু করেন। সহপাঠীরা চোখের সামনে দেখেন, বিক্ষোভের মধ্য থেকে ওই ছাত্রী হঠাৎ উঠে পড়েন। অধ্যক্ষের অফিসের কাছে দৌড়ে যান। তারপর নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। চোখের সামনে শরীরের ৯০ শতাংশেরও বেশি পুড়ে যায় তাঁর। সেই অবস্থায় তাঁকে ভুবনেশ্বরের এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিন দিন ধরে চলে লড়াই।
এইমস সূত্রে খবর, বার্নস আইসিইউতে পর্যাপ্ত চিকিৎসা হয় তাঁর। রেনাল রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি করা হয়। আরও নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরপর সব চেষ্টা ব্যর্থ করে ১৪ জুলাই রাত ১১:৪৬ নাগাদ ক্লিনিক্যালি মৃত ঘোষণা করা হয় তাঁকে। ভুবনেশ্বরের এইমস এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে।
অভিযোগকারিণীর বাবা অভিযোগ, কলেজের অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটির সদস্যরা এবং অধ্যক্ষ নিজেও, তাঁর মেয়ে এবং পরিবারকে অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। 'বলা হয়েছিল, আমরা যদি অভিযোগ প্রত্যাহার না করি, তাহলে আমার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে। আমাকে গ্রেফতার করা হবে।"






















