PM Modi On Vande Mataram : ব্রিটিশরা বাংলা ভাগ করতে চেয়েছিল, সঙ্ঘবদ্ধ রেখেছিল বন্দেমাতরম মন্ত্র, লোকসভায় বললেন মোদি
আজ লোকসভায় আলোচনা শুরু হয়েছে। এই আলোচনার জন্য ১০ ঘণ্টা সময় নির্দিষ্ট করা হয়েছে। জাতীয় গান 'বন্দে মাতরম' ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রাণ... মূল মন্ত্র।

নয়াদিল্লি : লোকসভার অধিবেশনে জাতীয় গান 'বন্দে মাতরম' রচনার ১৫০ বছর পূর্তি সংক্রান্ত বিতর্কের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপির অভিযোগ ছিল, ১৮৭৫ সালে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা 'বন্দে মাতরম'-এর গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ বাদ দিয়ে দেয় তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। সেই নিয়েই আজ লোকসভায় আলোচনা শুরু হয়েছে। এই আলোচনার জন্য ১০ ঘণ্টা সময় নির্দিষ্ট করা হয়েছে। জাতীয় গান 'বন্দে মাতরম' ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রাণ... মূল মন্ত্র।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'বন্দে মাতরম' নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বারবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন। একাধিকবার টেনে আনলেন স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তৎকালীন বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনকারীদের প্রসঙ্গও। কুর্নিশ জানালেন ক্ষুদিরাম বসুদের। বললেন, 'আমাদের স্বাধীনতার মন্ত্র ছিল, বলিদানের মন্ত্র ছিল বন্দে মাতরম। এটা ত্যাগের মন্ত্র, সঙ্কট মোকাবিলার মন্ত্র ছিল'। বন্দেমাতরমের আবেগ ও বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনের গৌরবময় অধ্যায়কে স্মরণ করিয়ে মোদি বলেন, '১৯০৫ সালে হরিপুরের গ্রামে শিশুরা বন্দে মাতরম স্লোগান দিচ্ছিল। ইংরেজরা তাদের বেধড়ক মারধর করেছিল। কি অসংখ্য মানুষ বন্দে মাতরম স্লোগান দিয়ে ফাঁসিকে বরণ করেছিলেন। মাস্টারদা সূর্যসেনকে ১৯৩৪-এ ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় সূর্যসেন চিঠি লিখেছিলেন, তাতে একটাই শব্দ ছিল বন্দে মাতরম'। মোদি আরও বলেন, 'আমাদের স্বাধীনতার মন্ত্র ছিল, বলিদানের মন্ত্র ছিল বন্দে মাতরম। এটা ত্যাগের মন্ত্র, সঙ্কট মোকাবিলার মন্ত্র ছিল'। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আজ বন্দে মাতরম-এর গৌরব পুনরায় স্থাপন করার সময় এসেছে।'
মোদি বলেন, "ব্রিটিশরা বুঝতে পেরেছিল যে ১৮৫৭ সালের পর ভারতকে নিয়ন্ত্রণ করা তাদের পক্ষে কঠিন। তারা জানত, ভারত ভাগ করে জনগণকে একে অপরের সঙ্গে লড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা করা কঠিন , তাই তারা দেশ ভাগ করে শাসন করার সিদ্ধান্ত নেয়, বাংলাকে তাদের পরীক্ষামূলক কেন্দ্র করে তোলে। সেই দিনগুলিতে বাংলার বৌদ্ধিক শক্তি দেশকে পরিচালনা করেছিল...তারা জানত যদি তারা বাংলাকে ভেঙে দিতে পারে, তাহলে তারা দেশ ভেঙে যাবে। কিন্তু সেই সময়ে, এই রাজ্য থেকে উদ্ভূত বন্দে মাতরম ধ্বনি তাদের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে ...বাংলায় সেই সময় বন্দে মাতরম স্লোগান তুলে প্রভাতফেরি বের হত। "
মোদি কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, 'বঙ্কিমচন্দ্র যে বন্দে মাতরম লিখেছেন, সেটা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে। ১৯০৫ সালে মহাত্মা গান্ধী বন্দে মাতরমকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে দেখেছিলেন। ইতিহাস সাক্ষী, মুসলিম লিগের সামনে আত্মসমর্পণ করে কংগ্রেস। কংগ্রেসের তুষ্টিকরণের রাজনীতির এটা একটা কৌশল ছিল। ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়ার পর দেশের সামনে চ্যালেঞ্জ বেড়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার পরও বন্দে মাতরম সঙ্কটের সময় প্রেরণা যুগিয়েছে'।






















