PM Modi: 'গুজরাতের মানুষের রাগের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত', আদানিকে নিয়ে মজা প্রধানমন্ত্রীর
Vizhinjam International Seaport in Kerala : কেরলের তিরুঅনন্তপুরম জেলায় গড়ে উঠেছে এই বন্দর। যার নির্মাণে আনুমানিক খরচ হয়েছে ৮ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা।

নয়াদিল্লি : কেরলে ভিঝিমজাম আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে শিল্পপতি গৌতম আদানির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। আদানির কথা বলতে গিয়ে করলেন মজাও। হাসির রোল উঠল দর্শকাসন থেকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমি এই মাত্র বন্দর ঘুরে দেখলাম। কিন্তু, যখন গুজরাতের মানুষ জানতে পারবেন যে গৌতম আদানি কেরলে এত বড় একটা বন্দর তৈরি করেছেন...গুজরাতে, ৩০ বছরে বন্দরের কাজ করছেন উনি। কিন্তু, কখনো এরকম বন্দর বানাননি। তাই, গুজরাতের মানুষের রাগের মুখোমুখি হওয়ার জন্য ওঁর প্রস্তুত থাকা উচিত।"
কেরলের তিরুঅনন্তপুরম জেলায় গড়ে উঠেছে এই বন্দর। যার নির্মাণে আনুমানিক খরচ হয়েছে ৮ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা। এই বন্দর ট্রান্সশিপমেন্টে বিদেশি বন্দরের উপর ভারতের নির্ভরতা কমাবে। বন্দরের উন্নয়নের কাজ করেছে আদানি পোর্টস ও স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড। কেরল সরকার ও আদানি গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেলে বন্দরটি গড়ে তোলা হয়েছে। বৃহত্তর আদানি গ্রুপের অংশ, APSEZ হল ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি বন্দর অপারেটর।
সমুদ্রবন্দরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানমঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কেরলের রাজ্যপাল রাজেন্দ্র আরলেকার, মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, গৌতম আদানি এবং কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর। প্রধানমন্ত্রীর সফরের মধ্যে ছিল তিরুঅনন্তপুরম শহর থেকে বন্দরস্থলে একটি সংক্ষিপ্ত আকাশপথ ভ্রমণ। হার্ড টুপি পরে, বিশিষ্ট মানুষজন এবং দর্শকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার আগে ট্রান্সশিপমেন্ট হাবের পরিচালনামূলক সুবিধাগুলি ঘুরে দেখেন।
এদিকে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরও। প্রধানমন্ত্রী মোদির অনুষ্ঠান মঞ্চে শশী তারুরের উপস্থিতি এমন একটা সময়ে ঘটল যখন তাঁর দলের নেতৃত্বের সঙ্গে, বিশেষ করে কেরালায়, তাঁর সম্পর্ক আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক সময়ে, তারুর রাজ্য কংগ্রেস ইউনিটের "নেতৃত্ব শূন্যতা"র কথা বলে প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এনিয়ে তিনি রাহুল গান্ধী-সহ সিনিয়র কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। দলে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। যদিও তাতে কোনও সুনির্দিষ্ট ফল মেলেনি। এই আবহে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানমঞ্চে তারুর। যে প্রসঙ্গে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী খোঁচা দিয়ে বলেন, "আজ এখানে শশী তারুর বসে আছেন। আজকের অনুষ্ঠান কিছু মানুষের ঘুম কেড়ে নেবে। মেসেজ যেখানে যাওয়ার সেখানে চলে গেছে।"
আগাগোড়া কংগ্রেসি তারুরের সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের সংঘাত এই প্রথম নয়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ার পর, নেতৃত্বের সমালোচনা করে যে ২৩ জন নেতা চিঠি দিয়েছিলেন সনিয়া গাঁধীকে, সেই তালিকায় নাম ছিল তাঁর। এর পরও কংগ্রেসের টিকিটে ফের তিরুঅনন্তপুরম থেকে জয়ী হয়েছেন তারুর। এমনকি কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার দৌড়েও একসময় শামিল ছিলেন। সেই তারুরের সঙ্গে সম্প্রতি ফের সংঘাত দেখা দিয়েছে কংগ্রেসের। সম্প্রতি মোদির প্রশংসা শোনা যায় তাঁর মুখে।






















