Cybersecurity Fraud: নির্মলা সীতারামনের সই নকল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা, প্রাক্তন LIC অফিসারকে ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’, প্রায় কোটি টাকা সাফ
Pune Cyber Fraud News: মহারাষ্ট্রের পুণে থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে।

নয়াদিল্লি: সাইবার অপরাধের দুনিয়ায় এবার চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে গেল। দেশের অর্থমন্ত্রীর সই নকল করে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিল জালিয়াতরা। নির্মলা সীতারামনের সই নকল করে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট দেখানো হয় এক বয়স্ক মহিলাকে। এর পর ‘ডিজিটাল অ্যারেস্টে’ রেখে তাঁর কাছ থেকে ৯৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। (Pune Cyber Fraud News)
মহারাষ্ট্রের পুণে থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে। পুণের সিটি সাইবার পুলিশ জানিয়েছে, অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে এই জালিয়াতি শুরু হয়। কোথরুডের বাসিন্দা, অবসরপ্রাপ্ত LIC অফিসার, ৬২ বছর বয়সি ওই মহিলা জালিয়াতদের ফাঁদে পা দিতে শুরু করেন। (Cybersecurity Fraud)
সাইবার পুলিশের দাবি, ‘ডেটা প্রোটেকশন এজেন্সি’র নামে প্রথমে ফোন আসে ওই মহিলার কাছে। ওই মহিলা যে ফোন নম্বরে আধার সংযুক্ত করে রেখেছেন, সেই নম্বরের অপব্যবহার হয়েছে, প্রতারণামূলক লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। এর পর আর এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলানো হয় তাঁকে। সেই ব্যক্তি আবার পুলিশ অফিসার হিসেবে নিজের পরিচয় দেন। নাম জর্জ ম্যাথু বলে জানান।
ভিডিও কলেও ওই মহিলার সঙ্গে কথা হয় জালিয়াতদের। পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিও কলে কথা বলার সময় মহিলার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তোলা হয়। মহিলার সমস্ত ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়, এমনকি সীতারামনের সই-সহ তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করা হয়। সরকারি সিলমোহরও ছিল তার উপর।
বার্ধক্য ছুঁয়ে ফেলায় তাঁকে আপাতত ‘হাউজ অ্যারেস্ট’ করা হচ্ছে বলে মহিলাকে জানায় জালিয়াতরা। ‘ডিজিটাল অ্যারেস্টে’ রাখা হয় তাঁকে। প্রযুক্তির সাহায্য়ে তাঁর উপর নজরদারি চলবে বলেও জানানো হয়। এর পর যাচাই প্রক্রিয়ার জন্য নিজের অ্যাকাউন্টের সব টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একটি অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিতে বলা হয় মহিলাকে।
সেই মতো ওই মহিলা মোট ৯৯ লক্ষ টাকা অন্য একাধিক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেন, যেগুলি আসলে সাইবার অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। কোনও রকম সন্দেহের অবকাশ যাতে না থাকে, তার জন্য মহিলাকে কিছু জাল নথি এবং ভুয়ো মানি রিসিটও দেওয়া হয়, যাতে আবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সিলমোহর ছিল। কিন্তু সব টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার পর মহিলা যতবারই ওই নম্বরে ফোন করেন, তা বন্ধ ছিল। একটা সময় পর বুঝতে পারেন তিনি ঠকে গিয়েছেন। সেই মতো পুণে সিটি সাইবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং ফোন নম্বর ধরে জালিয়াতদের নাগাল পাওয়ার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। সরকারি আধিকারিকের নামে প্রতারণা বা জালিয়াতি নতুন কোনও ঘটনা নয়। তবে দেশের অর্থমন্ত্রীর সই নকল করে টাকা হাতানোর ঘটনায় হতবাক সকলেই।






















