Raja Raghuvanshi Murder Case: একটা নয়, দুটো কাটারি দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছিল রাজা রঘুবংশীকে, রক্তাক্ত অবস্থায় স্বামীকে চিৎকার করতে দেখেও পালিয়ে যান সোনম
Meghalaya Honeymoon Murder: বিশাল সিং চৌহান কাটারি নিয়ে প্রথমবার রাজা রঘুবংশীকে আঘাত করার পরেই পালিয়ে যান সোনম। তখন রক্তাক্ত অবস্থায় চিৎকার করছিলেন ইন্দোরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশী।

Raja Raghuvanshi Murder Case: একটা নয়, দুটো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছিল রাজা রঘুবংশীকে। একটি কাটারি আগেই উদ্ধার হয়েছিল। এবার উদ্ধার হয়েছে দ্বিতীয় কাটারিটিও, খবর পুলিশ সূত্রে। মেঘালয়ে রাজা রঘুবংশীর খুনের ঘটনার পুনর্নিমান করেছে পুলিশ। আর ক্রাইম সিনের পুনর্নিমান করার সময় অভিযুক্তদেরও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ঘটনাস্থলে। সেই সময়েই দ্বিতীয় কাটারিটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দ্বিতীয় কাটারিটিও উদ্ধার হয়েছে সেই খাদ থেকেই, যেখান থেকে রাজা রঘুবংশীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল এবং উদ্ধার হয়েছিল আগের কাটারিটিও। Riat Arliang- এর Wei Sawdong Parking Lot- এর নীচে থাকা খাদ থেকেই দুটো কাটারি এবং রাজা রঘুবংশীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার এসআইটি- র একটি দল ক্রাইম সিনের পুনর্নিমান করেছে। শিলং থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে সোহরা এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সোনম- সহ বাকি অভিযুক্তদেরও। কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে ক্রাইম সিনের পুনর্নিমান করা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, রাজাকে প্রথম কাটারি নিয়ে আক্রমণ করেছিল বিশাল। তারও আগে রাজাকে মারাত্মকভাবে আঘাত করেছিল বিশাল। প্রবল চোট পান রাজ। শুরু হয় রক্তক্ষরণ। চিৎকার করতে থাকেন তিনি। চোখের সামনে যন্ত্রণায় রাজাকে কাতরাতে দেখেও বিন্দুমাত্র ভ্রূক্ষেপ করেননি সোনম। বরং ছুটে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর আবারও কাটারি নিয়ে রাজাকে ক্রমাগত আঘাত করতে থাকে ভাড়াটে খুনিদের মধ্যে অন্যতম মূল অভিযুক্ত বিশাল সিং চৌহান। পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, বিশাল কাটারি নিয়ে আক্রমণ করলেও, প্রথমেই হার মানেননি রাজা রঘুবংশী। আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। নৃশংস ভাবে খুন হতে হয়েছে ইন্দোরের ব্যবসায়ীকে।
১১ মে বিয়ে হয়েছিল রাজা রঘুবংশী এবং সোনমের। তাঁরা দু'জনেই ইন্দোরের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, বিয়ের আগে থেকেই রাজ কুশওয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সোনমের। কিন্তু তারপরেও রাজার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। সোনমের পরিবারের ফার্নিচার শিট ইউনিটে অ্যাকাউন্ট্যান্টের পদে কাজ করতেন রাজ। পরিবারের ব্যবসা দেখতেন সোনমও। বিয়ের পর মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়েছিলেন সোনম এবং রাজ। ২৩ মে নিখোঁজ হন তাঁরা। এরপর ২ জুন উদ্ধার হয় রাজা রঘুবংশীর দেহ। মেঘালয়ে বেড়াতে গিয়ে Nongriat গ্রামের একটি হোমস্টে- তে চেক-ইন করেছিলেন রাজা এবং সোনম। তার কয়েক ঘণ্টা পরেও নিখোঁজ হয়ে যান এই দম্পতি। পুলিশ সূত্রে খবর, যেখান থেকে রাজার দেহ উদ্ধার হয়েছে, তার থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই হোমস্টে।






















