সংগ্রামপুর বিষমদকাণ্ডে রায় ঘোষণা আলিপুর আদালতের, দোষী সাব্যস্ত খোঁড়া বাদশা
২০১১ সালে সংগ্রামপুর বিষমদকাণ্ডে মৃত্যু হয় ১৭৩ জনের।
পার্থ প্রতিম ঘোষ, কলকাতা: সংগ্রামপুর বিষমদকাণ্ডে রায় ঘোষণা আলিপুর আদালতের। দোষী সাব্যস্ত করা হল মূল অভিযুক্ত নুর ইসলাম ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশাকে। খুন, গুরুতর ক্ষতি করা সহ ৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বাকি ৭ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ। সোমবার সাজা ঘোষণা করবে আদালত । ২০১১ সালে সংগ্রামপুর বিষমদকাণ্ডে মৃত্যু হয় ১৭৩ জনের।
নেশার মাত্রা বাড়াতে মিথাইল অ্যালকোহল ও বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার হত মদে। সেই বিষমদে কেড়ে নেয় ১৭৩ জনের প্রাণ। ১০ বছর আগে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দেওয়া, বিষমদকাণ্ডের রায় ঘোষণা করল আলিপুর জেলা ও দায়রা আদালত। ৯ বছরের বেশি ধরে বিচারপ্রক্রিয়া চলার পর শনিবার আদালত। দোষী সাব্যস্ত করে মূল অভিযুক্ত খোঁড়া বাদশাকে। খোঁড়া বাদশার বিরুদ্ধে খুন, গুরুতর ক্ষতিসাধন-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির চারটি ধারায় এবং বেঙ্গল এক্সাইস অ্যাক্টের একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত । ওর সঙ্গে সাতজন অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস করেছে আদালত।
দীর্ঘ প্রায় এক দশকের অপেক্ষা। শেষ মেশ দোষা সাব্যস্ত হল মূল অভিযুক্ত। ২০১১-র ডিসেম্বরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট, উস্তি, মন্দিরবাজার-সহ ডায়মন্ড হারবার মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় বিষমদে খেয়ে মৃত্যুমিছিল হয়। সেই মৃত্যুমিছিলের খবরে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় রাজ্যবাসীর। ঘটনা সামনে আসতেই জনরোষ আছড়ে পড়ে মূল অভিযুক্ত নুর ইসলাম ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশার বাড়িতে। তার ভাটিও মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়। তদন্তভার হাত নেয় সিআইডি। এরপর খোঁড়া বাদশার একের পর সহযোগী ধরা পড়লেও, মূল চক্রী ছিল অধরা। মাস খানেক ধরে পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার পর আত্মসমর্পণ করে খোঁড়া বাদশা। বিশেষ সরকারি আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায় জানান, একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে খোঁড়া বাদশা। সোমবার সাজা ঘোষণা হবে। দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলার পর শেষ পর্যন্ত খোঁড়া বাদশা দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় খুশির হাওয়া সংগ্রামপুরে।