ফের বড়সড় ভাঙনের মুখে প্রদেশ কংগ্রেস, তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন দলের পাঁচ বিধায়ক
কলকাতা: ফের বড়সড় ভাঙনের মুখে প্রদেশ কংগ্রেস! সূত্রের খবর খুব তাড়াতাড়ি তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন আরও ৫ কংগ্রেস বিধায়ক। এরমধ্যে তিনজন মুর্শিদাবাদের, দু’জন মালদার। তৃণমূল সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের তিন বিধায়ক মইনুল হক, আবু তাহের খান এবং আখরুজ্জামান কংগ্রেস ছেড়ে শাসক দলে যোগ দিতে চলেছেন। এছাড়াও মালদার দুই বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় এবং সাবিনা ইয়াসমিনও কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখাতে চলেছেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, এই পাঁচজন বুধবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে চিঠি দিয়ে তৃণমূলে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ২ জুলাই বহরমপুরে তৃণমূলের সভায় কিংবা ২১ জুলাই শাসক দলের সমাবেশে এই পাঁচ কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। আগেই কংগ্রেসের ১১জন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এই পাঁচজন গেলে সংখ্যাটা বেড়ে হবে ১৬। কংগ্রেসের প্রতীকে ৪৪জন ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিল। এরমধ্যে নোয়াপাড়ার বিধায়ক মধুসূদন ঘোষের মৃত্যু হয়। তারপর সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া তৃণমূলে চলে যান। সংখ্যাটা কমে দাঁড়ায় ৪২। এরমধ্যে ১৬জন চলে গেলে, কংগ্রেসের আর থাকবে ২৬জন বিধায়ক। দলবদলের ধাক্কায় কংগ্রেসের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মুর্শিদাবাদে। সেই তুলনায় এখনও পর্যন্ত মালদায় কংগ্রেসের গড় অটুট থাকলেও, সম্প্রতি সেখানেও কংগ্রেস ভাঙানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যে কংগ্রেস তিনটি জেলায় শক্তিশালী ছিল-- মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর দিনাজপুর। ২০১৬-র পর থেকেই এই তিনটি জেলায় কংগ্রেসকে ভাঙানোর টার্গেট করেছে তৃণমূল। সেই অভিযানে সাফল্যেরও মুখ দেখেছে তারা। অধীরের সাম্রাজ্য এখন বিপন্ন। যে ক’জন এখনও কংগ্রেসে আছেন, তার মধ্যে অন্যতম মনোজ চক্রবর্তীর দাবি, তিনি কংগ্রেসে ছিলেন, আছেন। সূত্রের খবর, এখনও মালদাতেও কংগ্রেসে ভাঙন প্রায় অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু, তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, শিবির বদললালেও কংগ্রেস বিধায়করা কিন্তু এখনও খাতায় কলমে তৃণমূলে যোগ দেননি। কারণ, এমনটা করলে তাদের বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাবে। তাই তৃণমূলের পতাকা হাতে মঞ্চ আলো করলেও, আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁরা এখনও বলতে নারাজ যে, কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।