Howrah Train Accident: দুর্ঘটনার আগে জোরে শব্দ! রেল লাইনে ফাটল নাকি অন্য কারণ? হাওড়ার নলপুরে কীভাবে লাইনচ্যুত ট্রেন?
Rail Accident: কিন্তু অন্য লাইনে কী করে ঢুকে পড়ল ইঞ্জিনের পিছনের কামরাগুলি? যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি কারও গাফিলতি?
সুনীত হালদার, সৌমিত্র রায় ও পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেল ডাউন সেকন্দ্রাবাদ-শালিমার সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। হাওড়ার নলপুরে লাইনচ্যুত হল ট্রেনের একাধিক কামরা। ইঞ্জিন ও পার্সল ভ্যান এক লাইনে ঢুকলেও ট্রেনের বাকি ৪টি কামরা অন্য লাইনে ঢুকল কী করে? তদন্ত শুরু করেছে রেল। প্রাণ হাতে করে ট্রেন সফর আর কতদিন? ফের উঠল সেই প্রশ্ন। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে ভারতীয় রেল। ১০ দিনের মধ্যে মিলবে রিপোর্ট।
ফের বেআব্রু হয়ে গেল রেলের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা৷ ভেঙে গিয়েছে লাইন, ভেঙে গিয়েছে সিমেন্টের স্লিপার। স্লিপার থেকে ভেঙে ছিটকে বেরিয়ে এসেছে প্যান্ড্রোল ক্লিপ। শনিবার দুর্ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার নলপুর স্টেশনের কাছে।
দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রে খবর, ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ডাউন মেন লাইন দিয়ে বাউড়িয়া স্টেশন ছাড়িয়ে নলপুর স্টেশনে ঢুকলছিল 22850 ডাউন সেকন্দ্রাবাদ-শালিমার সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। নলপুর পশ্চিম কেবিনের কাছে ২৬ বি পয়েন্টের কাছে লাইনচ্য়ুত হয় ২টি যাত্রী কামরা সহ ৫টি কোচ। ডাউন মেন লাইন ধরে এগিয়ে যায় ইঞ্জিন ও পার্সল ভ্যান। মিডল লাইনে উঠে পড়ে ৫টি কামরা। ২০০-২৫০ মিটার ইঞ্জিন টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় ট্রেনটিকে। তারপরই ৫টি কামরা লাইনচ্যুত হয়।
ঘটনায় চরম আতঙ্কিত যাত্রীরা। তাঁদের অনেকে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার আগে বেশ জোরে শব্দ হয়। কিন্তু কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা? কারণ হিসেবে যে তথ্য হাতে এসেছে, তাতে তাজ্জব বনে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। কারণ, বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে, এদিন যে ঘটনা ঘটেছে তা প্রায় নজিরবিহীন। কীভাবে তা ঘটল, তা নিয়ে ধন্দে রেল আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, ২৬ বি পয়েন্টের কাছে ডাউন মেন লাইন ধরেই চলতে থাকে ইঞ্জিন ও পার্সেল ভ্যান। পিছনের ৪টি কামরা ঢুকে পড়ে পাশের মিডল লাইনে। প্রায় ২৫০ মিটার এভাবে চলার পর লাইনচ্যুত হয় পার্সেল ভ্যান, ২টি যাত্রীবাহী কামরা হয় ৫টি বগি।
কিন্তু অন্য লাইনে কী করে ঢুকে পড়ল ইঞ্জিনের পিছনের কামরাগুলি? যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি কারও গাফিলতি? রেল লাইনে ফাটল নাকি অন্য কোনও কারণ? তদন্ত শুরু করেছে রেল। দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি। ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
কিন্তু ট্রেনের গতি বেশি থাকলে কী হত? এভাবে প্রাণ হাতে করে ট্রেন সফর আর কতদিন? কবে আতঙ্ক আর আশঙ্কা ঝেড়ে ফেলে নিশ্চিন্তে সফর করা যাবে ভারতীয় রেলে?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে