Howarh Railways Update:টিকিয়াপাড়া রেল ইয়ার্ডের লাইনে জল জমা নিয়ে পুরসভার সঙ্গে কাজিয়ার মধ্যেই নয়া পরিকল্পনা রেলের
ডিআরএম জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা যায় আগামী বছর থেকে টিকিয়াপাড়া রেল ইয়ার্ড জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে।
সুনীত হালদার, হাওড়া: হাওড়ার টিকিয়াপাড়া রেল ইয়ার্ডের লাইনে জল জমা নিয়ে পূর্ব রেলের সঙ্গে হাওড়া পুরসভার কাজিয়া তুঙ্গে। রেলের অভিযোগ, যেহেতু টিকিয়াপাড়া রেল ইয়ার্ডের জল হাওড়া পুর এলাকা দিয়ে যায় সেই কারণে নর্দমা পরিষ্কার না হওয়ায় জল জমে থাকে। ফলে ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। যদিও হাওড়া পুরসভার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ঠিক সময়ে নর্দমা পরিষ্কার করছে। তবে রেলের জল নিকাশি নিয়ে গাফিলতি রয়েছে।
ফি বছর বর্ষাতেই একটু বেশি বৃষ্টি হলেই হাওড়ার টিকিয়াপাড়া রেল ইয়ার্ডের লাইনে জল জমে যায়। ফলে লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি মেল অথবা এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। এই বছর কার্যত লকডাউনের কারণে অনেক কম সংখ্যক ট্রেন চলছে। কিন্তু গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এবং অতিবৃষ্টির কারণে টিকিয়াপাড়া কারশেডের লাইনে জল দাঁড়িয়ে যায়। ফলে ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। এমনকি, একটি দূরপাল্লার ট্রেন দুন এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়। তাই পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জমা জল যাতে দ্রুত নেমে যায় তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনে ডিআরএম সুনীল নারুলা জানিয়েছেন, টিকিয়াপাড়া রেল ইয়ার্ডের কাছে দশরথ ঘোষ লেন থেকে একটি নর্দমার মাধ্যমে পচা খালে জল যায়। আবার পিলখানার কাছে কপূর গলি ও নন্দ ঘোষ লেন দিয়ে একটি নর্দমা গঙ্গার দিকে গেছে। এই নর্দমাগুলি ঠিকমতো পরিষ্কার না হওয়ার কারণেই জল দ্রুত নামছে না। ফলে পাম্প চালিয়ে কোন লাভ হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, নর্দমাগুলো যাতে পরিষ্কার করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে হাওড়া পুরসভার কমিশনারকে রেল চিঠি দিয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি আরও দাবি করেন, রেলের পক্ষ থেকে লিলুয়ার রানী ঝিলে পলি তোলার কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে, হাওড়া পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য জানান, পুরসভা নিকাশি নালা ঠিকমতো পরিষ্কার করছে। তবে রেলের জল যেভাবে দশরথ ঘোষ লেন সহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ঢ়ূকছে তা নিয়ে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য রেলকে শুনতে হবে। তাই তারা রেলের সঙ্গে আলোচনা চান।
অন্যদিকে, এই চাপান-উতোর এর মধ্যে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে ব্যবস্থা নিতে চলেছে। কার শেড এলাকার জল পাঁচটি পয়েন্ট সংগ্রহ করে তা পাম্পের সাহায্যে সরাসরি গঙ্গায় ফেলার একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে মোট খরচ হবে সাড়ে ৫ কোটি টাকা। ডিআরএম জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করা যায় আগামী বছর থেকে টিকিয়াপাড়া রেল ইয়ার্ড জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে।