Agni Prime:উন্নততর 'অগ্নি-প্রাইম' ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে সাফল্য DRDO-র, পাশে SFC
Successful Test Flight:আগের তুলনায় আরও উন্নত 'অগ্নি-প্রাইম' ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে সাফল্য পেল স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড (SFC) এবং ডিফেন্স রিসার্চ ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)।
নয়াদিল্লি: আগের তুলনায় আরও এক ধাপ উন্নত 'অগ্নি-প্রাইম' ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে সাফল্য পেল স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড (SFC) এবং ডিফেন্স রিসার্চ ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO)। বুধবার সন্ধে ৭টা নাগাদ ওড়িশার উপকূলে, ডক্টর এপিজে আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে এটির উৎক্ষেপণ করা হয়। সাফল্যের মাপকাঠি হিসেবে যা স্থির করা হয়েছিল, তার সবকটিই সার্বিক ভাবে ছুয়েছে 'অগ্নি-প্রাইম'-র এই সংস্করণ।
বিশদ...
টার্মিনাল পয়েন্টে যে দুটি ডাউনরেঞ্জ জাহাজ দাঁড় করানো ছিল, সেটি-সহ সবকটি জায়গার 'সেন্সর' থেকে যে তথ্য মিলেছে, তাতে এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের সাফল্য সম্পর্কে নিশ্চিত বিজ্ঞানীরা। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ, চিফ অফ স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড, ডিআরডিও-র শীর্ষ আধিকারিক-সহ ভারতীয় সেনার একাধিক বর্ষীয়ান অফিসাররা এই উৎক্ষেপণের সময় হাজির ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সাফল্যের খবর জানতে পেরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, ডিফেন্স রিসার্চ ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ড-সহ ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে অভিবাদন জানিয়েছেন। তাঁর মতে, 'অগ্নি-প্রাইম'-র মতো এমন ক্ষেপণাস্ত্র সশস্ত্র বাহিনীর শক্তি কয়েকগুণ বাড়াবে। প্রসঙ্গত, এর আগেই নতুন ধারার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, 'অগ্নি-প্রাইম'-র সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয়েছিল। সেটিও ডক্টর এপিজে আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকেই উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি তার এক ধাপ উন্নত সংস্করণ।
অতীত নিয়ে...
এর আগে, ২০২১ সালের জুন মাসে অগ্নি সিরিজের নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করেছিল ভারত। ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকায় 'অগ্নি পি'-র সফল উৎক্ষেপণ হয়। এপিজে আব্দুল কালাম দ্বীপে বেলা ১০টা ৫৫ মিনিট নাগাদ পারমাণবিক ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন। অগ্নির নতুন শ্রেণির প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র এই অগ্নি পি। অগ্নি ৩-র থেকে এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন ৫০ শতাংশ কম বলে সে সময় জানা যায়। রেল এবং রাস্তা থেকেও সেটি নিক্ষেপ করা যাবে, এমনও জানা গিয়েছিল সেই সময়। এছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ করা সম্ভব এটির, এমন শোনা যায়। প্রয়োজনমতো দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এটি পরিবহণ করা যাবে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের রেঞ্জ ১০০০-২০০০ কিলোমিটার। ইন্দো-প্যাসিফিকে শত্রুঘাঁটি লক্ষ্য করে এটি ব্যবহার করা সম্ভব। এই উৎক্ষেপণের কয়েকদিন আগে, দেশীয় পিনাকা রকেটের এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ ভার্সানের সফল উৎক্ষেপণ করেছিল ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন। ওড়িশার চাঁদিপুরার ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে এর উৎক্ষেপণ হয়।
আরও পড়ুন:‘সব মিথ্যে মামলা, ওঁর ভাইপো শুধু ভাল’, মমতার আক্রমণে জবাব নিশীথের