![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Hijab controversy: কর্নাটকের পর হিজাব বিতর্কের ঢেউ এবার কলকাতাতেও, চাপে পড়ে ইস্তফা শিক্ষিকার
Hijab controversy: হিজাব নিয়ে বিতর্কের জেরে কলেজ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন একজন শিক্ষিকা। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতায়। তাঁর নাম সানজিদা কাদের।
![Hijab controversy: কর্নাটকের পর হিজাব বিতর্কের ঢেউ এবার কলকাতাতেও, চাপে পড়ে ইস্তফা শিক্ষিকার Teacher resigned for hijab controversy in Kolkata Hijab controversy: কর্নাটকের পর হিজাব বিতর্কের ঢেউ এবার কলকাতাতেও, চাপে পড়ে ইস্তফা শিক্ষিকার](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/06/11/56376d407d9b5f2e124f6da67d29b7331718081388296990_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: কিছুদিন আগে স্কুল বা কলেজে হিজাব পড়া নিয়ে প্রবল বিতর্ক দেখা দিয়েছিল। এবার সেই বিতর্কের এসে পড়ল খোদ কলকাতায়। এক্ষেত্রেও বিতর্ক বাধল সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যাকে নিয়ে ওই বিতর্ক তৈরি হয়েছে তাঁর নাম সানজিদা কাদের। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কবরডাঙার এলজেডি ল'কলেজের একজন শিক্ষিকা।
এপ্রসঙ্গে তিনি জানান, গত রমজনের পর থেকেই তিনি হিজাব পড়ে কলেছে আসছেন। এতদিন তাঁকে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে। তবে সম্প্রতি তিনি হিজাব পড়ে কলেজে আসার পর কর্তৃপক্ষের তরফে মৌখিকভাবে তাঁকে হিজাব পড়ে স্কুলে আসতে বারণ করা হয়। পরে কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জারি করা হয় পোশাক বিধি।
ওই শিক্ষিকার আর অভিযোগ, ক্রমশ পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে এই জুন মাসের পাঁচ তারিখ কলেজ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন তিনি।
তাঁর কথায়, ইরানে যে হিজাব বিরোধী আন্দোলন চলছে তাকে সমর্থন জানাই। পরাতে বাধ্য করাটা যদি অপ্রেশন হয় তাহলে আমাকে হিজাব পরতে না দেওয়াটিও অপ্রেশন। আইনের ছাত্র ও শিক্ষক হিসেবে আমি মনে করি, ধর্ম নিরপেক্ষ দেশে কী পরব তা কেউ ঠিক করে দিতে পারে না। কিন্তু, কলেজ কর্তৃপক্ষে এই বিষয়ে একবারেরই অনমনীয় ছিল। তাই কিছুটা বাধ্য হয়েই আমি চাকরি থেকে ইস্তফা দিই।
ইতিমধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের সাফাই দিয়েছেন সানজিদা। অভিযোগ জানিয়েছেন সংখ্যালঘু কমিশনেও। এদিকে বিষয়টি জানতে পেরেই ওই শিক্ষিকার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাক্তন পুলিশকর্তা হুমায়ুন কবির। এই বিষয়ে এলজেডি ল কলেজের পরিচালন সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ করে আলোচনাও করেছেন হুমায়ুন কবীর। তাতে সমাধান সূত্র বেরিয়ে এসেছে বলে গতকাল অথার্ৎ সোমবার সানজিদাকে সঙ্গে নিয়ে বৈঠকের পর জানান তিনি।
আরও পড়ুন: Bengal BJP New State President: সুকান্তর ব্যাটন হাতে নেবেন কে? দায়িত্বে এবার নারীশক্তি? উঠে আসছে ৫ নাম
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি শুনেই আমার খারাপ লেগেছে। কারণ ধর্মনিরপেক্ষ দেশে এই জিনিস চলতে দেওয়া যায় না। তাই নিজেই উদ্যোগী হয়েছি। দীর্ঘক্ষণের পর সমাধান সূত্রও পাওয়া গেছে। তাতে আমি খুশি।
কবর ডাঙার ল কলেজেতে আমরা চাইি কেউ কোনও ধর্মীয় পোশাক পরে আসা যাবে না। উনি একটা সার্ফ মাথায় বাঁধতে পারেন। তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)