Jammu and Kashmir: চিনা অস্ত্র, সরঞ্জাম পাক জঙ্গিদের হাতে? ভূস্বর্গে একের পর এক নাশকতায় উঠে এল নয়া তথ্য
China Made Weapons: জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গিরা চিনে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেনেড বডি ক্যামেরা এবং যোগাযোগের সরঞ্জাম ব্যবহার করছে বলে ভারতীয় গোয়েন্দাসূত্রে খবর।
নয়াদিল্লি: ভূস্বর্গে নাশকতার নেপথ্যে পড়শি দেশ পাকিস্তানের ভূমিকার কথা উঠে এসেছে বার বার। জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এবার চিনা সংযোগ সামনে এল। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে যানা যাচ্ছে, নাশকতা চালাতে এবং পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে যে সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র এবং সরঞ্জাম ব্যবহার করছে জঙ্গিরা, সেগুলি মূলত চিনে তৈরি। চিনে তৈরি অস্ত্রশস্ত্র এবং সরঞ্জামের ব্যবহারের লাগাতার বৃদ্ধিও চোখে পড়ছে বলে জানা গিয়েছে। আর তাতেই অশনি সঙ্কেত দেখছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। (Jammu and Kashmir)
পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবার মতো সংগঠনের জঙ্গিরা চিনে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেনেড বডি ক্যামেরা এবং যোগাযোগের সরঞ্জাম ব্যবহার করছে বলে ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। সম্প্রতি উপত্যকায় যে পর পর নাশকতা চালানো হয়েছে, তাতে চিনে তৈরি ওই সব সরঞ্জামই ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। (China Made Weapons)
শুধু বড় ধরনের নাশকতা চালাতেই নয়, সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঘটাতেও চিনা সরঞ্জামের ব্যবহার বেড়েছে। সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে অনুপ্রেবেশ চালানোর চেষ্টা করার সময় জঙ্গিদের কাছ থেকে স্নাইপার বন্দুক উদ্ধার হয়, তা চিনা প্রযুক্তিতে তৈরি। নভেম্বর মাসে ভারতীয় সেনাকে লক্ষ্য করে ওই স্নাইপার বন্দুক থেকেই গুলি ছোড়ে জঙ্গিরা। এমনকি হামলার পর যে ছবি প্রকাশ করে জঙ্গি সংগঠন, সেই ছবিও চিনা বডি ক্যামেরায় তোলা বলে জানা গিয়েছে।
নাশকতা বা অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে সাধারণ সাংকেতিক ভাষায় পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখে জঙ্গিরা, তার জন্য যে বিশেষ যন্ত্রের ব্যবহার চোখে পড়েছে সম্প্রতি, সেটিও চিনে তৈরি বলে দাবি ভারতীয় গোয়েন্দারা। চিনা অস্ত্রশস্ত্র এবং সরঞ্জাম পাক জঙ্গিদের হাতে উঠছে কী করে, তার সপক্ষেও যুক্তি দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, পাকিস্তানি সেনা নিয়মিত চিন থেকে আসা অস্ত্রশস্ত্র, ক্যামেরা এবং অন্য সরঞ্জাম পরীক্ষা করে দেখে। কিন্তু নিজেরা না ব্যবহার করে সেগুলি জঙ্গি সংগঠনগুলির হাতে তুলে দেয়। সীমান্ত পেরিয়ে উপত্যকায় নাশকতা চালাতে জঙ্গিরা সেগুিলিই ব্যবহার করে।
শুধু তাই নয়, গোয়েন্দা সূত্রে খবর, চিনের সাহায্যে নিজেদের সাইবার শাখাকেও শক্তিশালী করতে উদ্যোগী হয়েছে পাকিস্তান। পাকিস্তানে পৃথক ইনফরমেশন সিকিওরিটি ল্যাব তৈরিতে টাকা ঢালছে চিনও, যা সাইবার যুদ্ধের প্রস্তুতি বলেই মত কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। লাদাখে সীমান্ত নিয়ে ভারতের সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যে চিন পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সাহায্য করছে কিনা, উঠছে সেই প্রশ্নও। সম্প্রতি ফের উপত্যকায় নাশকতা চালিয়েছে পাক জঙ্গিরা, তাতে পাঁচ সেনার মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দু'জন। বৃহস্পতি সরাসরি সেনার গাড়িতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এমন পরিস্থিতিতে উপত্যকায় সেনা বাড়ানো হচ্ছে।