Delhi on Black Fungus : দিল্লির তিনটি হাসপাতালে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে কেজরিওয়াল সরকার
তিনটি হাসপাতালে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের পৃথক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে চলেছে দিল্লি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, লোক নায়ক জয় প্রকাশ হাসপাতাল, গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতাল ও রাজীব গাঁধী হাসপাতালে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
নিউ দিল্লি : এক করোনা ভাইরাসে রক্ষে নেই, 'দোসর' ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ! করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আবহেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ছত্রাকঘটিত এই রোগ। এই পরিস্থিতিতে তিনটি হাসপাতালে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের পৃথক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে চলেছে দিল্লি।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, লোক নায়ক জয় প্রকাশ হাসপাতাল, গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতাল ও রাজীব গাঁধী হাসপাতালে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
প্রসঙ্গত, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি আধিকারিক ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পরে তিনি টুইট করে জানান, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় আধিকারিক ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক করলাম। এই রোগের বৃদ্ধিও আটকাতে হবে। যাঁরা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের যত দ্রুত সম্ভব ভাল চিকিৎসা দিতে হবে।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস প্রতিরোধ ও চিকিৎসার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বৈঠকে নেওয়া হয়েছে বলে জানান কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্তগুলি হল ১, LNJP, GTB ও রাজীব গাঁধী হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা। ২, এই রোগের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের বন্দোবস্ত এবং ৩, এই রোগ প্রতিরোধে মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে দিল্লি সরকার Amphotericin-B ইঞ্জেকশনের যথেচ্ছ ব্যবহার রুখতে চার সদস্যের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট কমিটি তৈরি করে। যাতে এই ওষুধের বিতরণে স্বচ্ছতা থাকে। হাসপাতালে ভর্তি করোনা আক্রান্ত ও যাঁদের প্রয়োজন আছে তাঁদের কাছে যাতে এই ওষুধ পৌঁছে দেওয়া যায়।
দিল্লি সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে মুকোরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছেন, ছত্রাক ঘটিত কারণে এই জটিলতা দেখা দেয়। শরীরের কোনও অংশ কেটে গেলে, ছড়ে গেলে বা পুড়ে গেলে চামড়ার মাধ্যমে এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। উল্লেখ্য, আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এই সংক্রমণের বিষয়ে সব রাজ্যকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, মহামারী আইনের অধীনে এবার থেকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণের বিষয়ে সমস্ত তথ্য দিতে হবে রাজ্যগুলিকে।