US-China Relations: দক্ষিণ চিন সাগরে ফের রহস্যজনক দুর্ঘটনা, ভেঙে পড়ল আমেরিকার যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার, মাত্র ৩০ মিনিটে
South China Sea: আমেরিকার নৌবাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় বাহিনী বিমান ও হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ার সত্যতা স্বীকার করেছে।

নয়াদিল্লি: আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতিতে টানাপোড়েন যখন চরমে, সেই সময়ে দক্ষিণ চিন সাগরকে ঘিরে রহস্য ঘনাচ্ছে। মাত্র আধঘণ্টার মধ্যে দু’-দু’টি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে। রহস্যজনক ভাবে ভেঙে পড়েছে একটি যুদ্ধবিমান ও একটি হেলিকপ্টার, দু’টিই আমেরিকার। মাত্র আধঘণ্টার ব্যবধানে পর পর এমন দুর্ঘটনার কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতিতে এই দক্ষিণ চিন সাগরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিছক দুর্ঘটনা, না কি নেপথ্য কারণ অন্য কিছু, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। (South China Sea)
আমেরিকার নৌবাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় বাহিনী বিমান ও হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ার সত্যতা স্বীকার করেছে। ওই বিমান এবং হেলিকপ্টারটি যুদ্ধজাহাজ USS Nimitz থেকে উড়েছিল। MH-60R Sea Hawk হেলিকপ্টারের তিন কর্মীকে রবিবার বিকেলেই উদ্ধার করা হয়। F/A-18F Suprer Hornet যুদ্ধবিমান থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন দুই পাইলট। তাঁদেরকেও নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। পাঁচজনই নিরাপদে আছেন, তাঁরা স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে। (US-China Relations)
ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী Houthi-র মোকাবিলায় গত বেশ কয়েক মাস পশ্চিম এশিয়ায় মোতায়েন ছিল আমেরিকার যুদ্ধজাহাজ USS Nimitz. এই মুহূর্তে ওয়াশিংটনের Kirsap ঘাঁটিতে ফিরছে। সেই সময়ই এই দুর্ঘটনা ঘটল। আমেরিকার নৌবাহিনী জানিয়েছে, আধ ঘণ্টার মধ্যে দু’টি দুর্ঘটনা কী ভাবে ঘটল, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। সোমবার টোকিও যাওয়ার পথে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। দুর্ঘটনার নেপথ্যে সন্দেহজনক কিছু আছে কি না জানতে চাওয়া হয়। যদিও ট্রাম্প বলেন, “খারাপ মানের জ্বালানি থেকে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। কিছু লুকনোর নেই।”
তবে ট্রাম্পের মন্তব্যের পরও ধোঁয়াশা কাটছে না। দুর্ঘটনার কথা মেনে নিলেও, দক্ষিণ চিন সাগরে কী করছিল তারা, তা খোলসা করেনি আমেরিকার নৌবাহিনী। চিনের বিদেশমন্ত্রক যদিও জানিয়েছে, সামরিক মহড়া চলাকালীনই দুর্ঘটনা ঘটে, যার দরুণ বিমান এবং হেলিকপ্টারটি ভেঙে পড়ে। আমেরিকাকে মানবিক সহযোগিতা জোগাতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছে চিন। USS Nimitz আমেরিকার অন্যতম প্রাচীন বিমানবাহক। সেটি পৃথিবীর বৃহত্তম যুদ্ধজাহাজও।
যে দক্ষিণ চিন সাগরে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটিকে ঘিরে সংঘাতের কথা চাপা নেই কারও কাছে। দক্ষিণ চিন সাগরে নিজের আধিপত্য কায়েম করতে চায় চিন। আন্তর্জাতিক আদালতের আপত্তি সত্ত্বেও গত দুই দশক ধরে সেখানে লাগাতার সামরিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে ড্রাগন। তাদের ঠেকাতে সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। তাই দক্ষিণ চিন সাগরে ঘটা প্রত্যেক দুর্ঘটনাকেই সন্দেহের চোখে দেখা হয়। গত কয়েক মাসে বেশ কিছু এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে। এবার আমেরিকার বিমান ও হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ল। ট্রাম্প যখন মালয়েশিয়ায় আয়োজিত ASEAN সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন, সেই সময় এই দুর্ঘটনাকে তাই সহজ ভাবে নিচ্ছেন না অনেকে। ASEAN-এ ট্রাম্প এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠক হয় কি না, তাও দেখার।























