Rahul Gandhi : "আমার বাড়িটা...", রাহুলের নামে বোর্ড ঝোলালেন সস্ত্রীক কংগ্রেস নেতা !
Ajay Rai : এই অজয় রাই ২০১৪ ও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে লড়াই করে ব্যর্থ হয়েছেন।
বারাণসী : লোকসভার সদস্যপদ যাওয়ার পর তাঁকে সরকারি বাংলো ফাঁকা করে দিতে বলা হয়েছে। তার উত্তরে সাড়াও দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। মঙ্গলবারই তিনি লোকসভা সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি নিয়ম মেনে চলবেন। এই পরিস্থিতিতে দলের প্রাক্তন সভাপতির সম্মানার্থে নিজের বাড়িটি প্রতীকী অর্থে উৎসর্গ করলেন উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) কংগ্রেসের অন্যতম বর্ষীয়ান নেতা অজয় রাই (Congress leader Ajay Rai)। বারাণসীর (Varanasi) লহুরাবীর এলাকায় তাঁদের যে বাড়ি রয়েছে,তার সামনে একটি বোর্ড লাগানো হয়েছে অজয় রাই ও তাঁর স্ত্রীর তরফে। তাতে লেখা, "আমার বাড়ি রাহুল গান্ধীর বাড়ি।"
কী বলছেন কংগ্রেস নেতা ?
অজয় রাই বলেন, "দেশের স্বৈরাচারী শাসকরা আমাদের নেতার বাসভবন ছিনিয়ে নিতে চাইছেন। কিন্তু, ওঁরা জানেন না, গোটা দেশের কোটি কোটি দলীয় কর্মীর বাড়িই রাহুল গান্ধীর। বাবা বিশ্বনাথের শহরে, লহুরাবীর এলাকায় আমাদের যে বাড়িটি রয়েছে সেটি রাহুল গান্ধীকে উৎসর্গ করেছি। ওঁর সমর্থনে এই অভিযান কাশী-সহ গোটা প্রয়াগরাজ এলাকায় শুরু হয়েছে।"
"গান্ধী পরিবার প্রয়াগরাজে তাঁদের আনন্দ ভবন গোটা দেশের জন্য উৎসর্গ করে দিয়েছে। তাই ওঁকে(রাহুল গান্ধী) উচ্ছেদ নোটিস পাঠানো বিজেপির তরফে একধরনের কাপুরুষতা।" এই ভাষায় সুর চড়ান কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা। প্রসঙ্গত, এই অজয় রাই ২০১৪ ও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে লড়াই করে ব্যর্থ হয়েছেন।
তাঁর সুরেই রাহুলের উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক সিং বলেন, রাহুল গান্ধী মানুষের হৃদয়ে বাসা বানিয়ে ফেলেছেন। তাঁর জন্য প্রত্যেক বাড়ির দরজা খোলা। কারণ, রাহুল গান্ধী ঘৃণার বাজারে ভালবাসার দোকান খোলার শপথ নিয়েছেন। আমার নেতা, আমার অনুপ্রেরণা, আমার ভাই রাহুলজি...আমার বাড়ি আপনার বাড়ি।
লোকসভার সংসদপদ চলে যাওয়ায় নিয়ম মেনে আগামী ২২ এপ্রিলের মধ্যে তাঁকে যে সরকারি বাংলো দেওয়া হয়েছিল, তা ফাঁকা করে দেওয়ার নোটিস দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন রাহুল গান্ধী। মানহানি-মামলায় ২ বছরের সাজা ঘোষণা করে সুরাত জেলা আদালত। পরে আদালত থেকেই জামিন পান কংগ্রেস সাংসদ। তবে ২ বছরের সাজা ঘোষণায়, সাংসদ পদ খোয়াতে হয় রাহুলকে।
আরও পড়ুন ; 'মেনে চলব' বাংলো খালির নির্দেশে পাল্টা বার্তা রাহুলের