Weather Update: উষ্ণ হয়েছে রাত, ভারতীয়দের ঘুম ও স্বাস্থ্যে পড়ছে প্রভাব, তালিকায় পশ্চিমবঙ্গও ; বলছে সমীক্ষা
Rise In Nighttime Temperature : ক্লাইমেট সেন্ট্রাল ও ক্লাইমেট ট্রেন্ডসের পর্যবেক্ষণে এই তথ্য উঠে এসেছে।
নয়াদিল্লি : তীব্র গরমে স্বস্তির খোঁজে দেশের বিস্তীর্ণ অংশের মানুষ। এখন আর শুধু দিনের বেলাতেই নয়, রাতেও থাকছে গরম। কার্যত ২৪ ঘণ্টায় কোন সময়টায় যে স্বস্তি পাওয়া যাবে তা বলায় মুশকিল। মুম্বইয়েও রাতের দিকে তাপমাত্রার বিশাল পরিবর্তন লক্ষ্য করে গেছে। তীব্র তীবপ্রবাহের মধ্যে দিয়েই চলছে দেশ। এই পরিস্থিতিতে আজ শুক্রবার নতুন একটি পর্যবেক্ষণ সামনে এসেছে। তাতে দেখা গেছে, প্রতি বছর অন্তত ৫০ থেকে ৮০ মতো রাতের দিকে তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে যাচ্ছে। যার গুরুতর প্রভাব পড়ছে ঘুম ও স্বাস্থ্যে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ফেলেছে রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে। ভারত-সহ গোটা বিশ্বজুড়ে যার প্রভাব পড়েছে নিরবচ্ছিন্ন ঘুম ও স্বাস্থ্যে। ক্লাইমেট সেন্ট্রাল ও ক্লাইমেট ট্রেন্ডসের পর্যবেক্ষণে এই তথ্য উঠে এসেছে। জলবায়ুর পরিবর্তনের সাথে সাথে গোটা বিশ্বে গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আর একটা বিষয় লক্ষ্য করা গেছে, দিনের থেকে দ্রুত তাপমাত্রা বাড়ছে রাতে। প্রাথমিকভাবে কয়লা, গ্যাস ও তেল জ্বালানোর ফলে এই সমস্যা বাড়ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গত এক দশক ধরে রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও তাৎপর্যপূর্ণভাবে বেড়েছে। গত ১২ বছরের মধ্যে নয়াদিল্লিতে সরথেকে উষ্ণ রাত ছিল গত ১৮ জুন। পারদ স্পর্শ করে যায় ৩৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এমনই জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর। ১৯৬৯ সালের পর যা শহরের সরথেকে বেশি ন্যূনতম তাপমাত্রা। পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কেরল, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীর এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বিভিন্ন শহরে ৫০ থেকে ৮০ দিন এই পরিসংখ্যানের তালিকায় জুড়ে যাচ্ছে।
মেট্রো শহরগুলির মধ্যে, রাতে তাপমাত্রা পরিবর্তন সবথেকে বেশি দেখা গিছে মুম্বইয়ে। বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে অতিরিক্ত ৬৫ দিন উষ্ণ রাতের অবিজ্ঞতা হয়েছে এই শহরের। সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে। জলপাইগুড়ি, গুয়াহাটি, শিলচর, ডিব্রুগড় ও শিলিগুড়ির মতো শহরে প্রতি বছর অন্তত ৮০ থেকে ৮৬ অতিরিক্ত দিন জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চৌকাঠ পেরিয়ে যাচ্ছে।