State Education Policy: আলাদা শিক্ষানীতি আনবে রাজ্য, তৈরি দশ সদস্যের কমিটি
West Bengal Education: জাতীয় শিক্ষা নীতি নয়। এবার নিজস্ব শিক্ষানীতি আনছে রাজ্য। এমনটাই জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: জাতীয় শিক্ষা নীতি নয়। এবার নিজস্ব শিক্ষানীতি আনছে রাজ্য। এমনটাই জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ৩৪ বছর পর নতুন শিক্ষানীতি আনছে মোদি সরকার। UGC-থেকে একাধিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে এসেছে। একাধিক বদল আসছে ওই শিক্ষানীতিতে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই আপত্তি জানানো হয়েছে বিভিন্ন স্তর থেকে। মহারাষ্ট্র, কেরলেও আলাদা করে রাজ্যের শিক্ষানীতি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সেই পথেই এগোচ্ছে রাজ্য।
কেন এই পদক্ষেপ?
ব্রাত্য বসুর দাবি, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার জাতীয় শিক্ষানীতি রাজ্যের উপর চাপাতে চাইছে। যা মানা হবে না বলে হুঁশিয়ারি রাজ্যের। এবিপি আনন্দকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, কেন্দ্রের ফতোয়া মানা হবে না। দ্রুত রাজ্যের শিক্ষানীতি ঘোষণা হবে।
কী পদক্ষেপ?
এই কাজের জন্য ইতিমধ্যেই একটি কমিটি তৈরি করেছে রাজ্য। রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের প্রধান সচিব মনীশ জৈন কমিটি তৈরি করেছেন। সেখানে দশজন সদস্য রয়েছেন। একাধিক বিশিষ্টজন রয়েছেন ওই কমিটিতে।
কারা রয়েছেন কমিটিতে?
রাজ্যের কমিটিতে রয়েছেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। কমিটিতে রয়েছেন সুগত বসু, সুরঞ্জন দাস, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি। রয়েছেন আরও একাধিক শিক্ষাবিদ
শিক্ষামন্ত্রীর দাবি:
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন ২ মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে কমিটিকে। রিপোর্টের ভিত্তিতে তৈরি হবে রাজ্যের শিক্ষানীতি। তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে তাঁর অনুমতি ও নির্দেশ মতো কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার একতরফা ভাবে রাজ্যের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছে। এই ধরনের ফতোয়া আমরা মানি না। বিশেষজ্ঞদের মতামত জানার পর আমরা রাজ্যের শিক্ষানীতি ঘোষণা করব। '
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা:
শিক্ষাবিদ নৃসিংহ প্রসাদ ভাদুড়ি বলেন, 'আগেও মনে হয়েছে, যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকার তৈরি করেছে তা প্রধানত আমেরিকার অনুকরণ হয়েছে। যে পদ্ধতিতে তৈরি হয়েছে সেটা এই দেশে হয় না।'
শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, 'রাজ্যের এই অধিকার অবশ্যই রয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি খুব একটা ভাল হয়েছে তা আমার মনে হয় না। গৈরিকীকরণ, হিন্দি ভাষার প্রচার রয়েছে।'
আরও পড়ুন: আপাতত সুস্থ অনুব্রত, মেডিক্যাল রিপোর্ট হাতে পেতে আদালতে সিবিআই