এক্সপ্লোর
Advertisement
কেন আমাদের নেতারা চিনের নাম মুখে আনতে ভয় পান! মোদির লালকেল্লার ভাষণকে কটাক্ষ কংগ্রেসের
বিরোধী দলের তরফে সরকারের ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার স্লোগানের সমালোচনা করেও প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন্দ্র ৩২টি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা বেচে, রেল, বিমানবন্দরগুলিকে বেসরকারি হাতে তুলে দিয়ে, এলআইসি ও ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার ওপর আঘাত করে কী করে দেশের স্বাধীনতা অটুট রাখবে।
নয়াদিল্লি: স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে চিনের নাম সরাসরি না করায় ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করল কংগ্রেস। শনিবার সকালে লালকেল্লা থেকে দেওয়া জাতির প্রতি ভাষণে মোদি নাম না করে চিন, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, যারা ভারতের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করতে চেয়েছে, সীমান্তে মোতায়েন সশস্ত্র বাহিনী তাদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। কিন্তু কেন তিনি চিনের নাম মুখে আনলেন না, সেটাই জানতে চেয়েছেন কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা। দিল্লিতে দলের সদর দপ্তরে পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমরা সবাই আমাদের সশস্ত্র, আধাসামরিক, পুলিশ বাহিনীকে নিয়েচ গর্বিত। আমরা ১৩০ কোটি ভারতীয়, সব কংগ্রেস কর্মীও ওদের জন্য গর্বিত। যখনই আমাদের ওপর কোনও আক্রমণ হয়েছে, ওরা হামলাকারীদের যোগ্য জবাব দিয়েছে। কিন্তু কেন আমাদের শাসকরা চিনের নাম করতে ভয় পান, সেটাও ভাবা উচিত। চিন যখন আজ আমাদের ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে, সরকারকে অবশ্যই বলতে বলব, চিনা বাহিনীকে হটিয়ে দেশের ভৌগলিক অখন্ডতা বজায় রাখতে তারা কী করতে চায়।
বিরোধী দলের তরফে সরকারের ‘আত্মনির্ভর’ হওয়ার স্লোগানের সমালোচনা করেও প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন্দ্র ৩২টি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা বেচে, রেল, বিমানবন্দরগুলিকে বেসরকারি হাতে তুলে দিয়ে, এলআইসি ও ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার ওপর আঘাত করে কী করে দেশের স্বাধীনতা অটুট রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী এদিনের প্রায় দেড় ঘন্টার ভাষণে আত্মনির্ভর ভারত নির্মাণ অভিযানের ওপর বিরাট জোর দেন। সুরজেওয়ালা পাল্টা বলেন, আত্মনির্ভরতার ভিত গড়েছিলেন পন্ডিত জওহরলাল নেহরু, সর্দার বল্লভভাই পটেল, অন্য স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। যারা আত্মনির্ভর হওয়ার কথা বলছে, তাদের প্রশ্ন করতে চাই, ৩২টি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা বিক্রি করে, রেল, বিমানবন্দরে বেসরকারি হাতে তুলে দিয়ে, এলআইসি, এফসিআইকে আক্রমণ করে সরকার কী করে দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষিত রাখবে। যারা সেই স্বাধীনতাকে আঘাত করছে, তাদের বিরুদ্ধে নির্ধারক যুদ্ধে নামার ডঙ্কা বাজানোর শপথ নেওয়া উচিত আজ সবার। এটাই আসল জাতীয়তাবাদ।
আজ কংগ্রেস সদর দপ্তরে পতাকা তোলার অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন না সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। পতাকা তোলেন প্রবীণ নেতা এ কে অ্যান্টনি। ছিলেন রাহুল গাঁধীও।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
খুঁটিনাটি
খুঁটিনাটি
জেলার
Advertisement