Afghanistan Drone Attack: আফগানিস্তানে আমেরিকার প্রত্যাঘাত, বিমানবন্দরে হামলার মূল ষড়যন্ত্রী নিহত, দাবি পেন্টাগনের
মার্কিন নাগরিকদের দ্রুত কাবুল বিমানবন্দরের গেটে ভিড় না জমানোর নির্দেশ দিয়েছে কাবুলের মার্কিন দূতাবাস
কাবুল : আফগানিস্তানে আমেরিকার প্রত্যাঘাত। আফগান-পাক সীমান্তের কাছে নানগড়হরে ড্রোন হামলা চালাল মার্কিন সেনা। কাবুল বিমানবন্দরে হামলার মূল ষড়যন্ত্রী নিহত বলে দাবি করেছে পেন্টাগন। পাল্টা আঘাতের আশঙ্কায় মার্কিন নাগরিকদের দ্রুত কাবুল বিমানবন্দরের গেটে ভিড় না জমানোর নির্দেশ দিয়েছে কাবুলের মার্কিন দূতাবাস।
US Attack on ISIS : আমেরিকার প্রত্যাঘাত
জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের খোরাসান শাখা কাবুল বিমানবন্দরে হামলার দায় নেওয়ার পরেই জো বাইডেন হুঙ্কার দেন, হামলার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করা হবে। মূল্য চোকাতে হবে হামলাকারীদের। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই হুঁশিয়ারির ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই পাহাড় ঘেরা নানগড়হর প্রদেশে স্বয়ংক্রিয় ড্রোন হামলা চালাল আমেরিকা।
Kabul Blast IS
কাবুলে আইএসের আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭২। হাসপাতালে ভর্তি দুশো জনেরও বেশি। নিহতদের তালিকায় আছেন ১৩ জন মার্কিন সেনা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তারপরই হুঁশিয়ারি দেন। বৃহস্পতিবার সকালে কাবুল বিমানবন্দরে জঙ্গি হামলার সতর্কবার্তা জারি করে আমেরিকা, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া। সেই আশঙ্কা সত্যি করে, সন্ধেয় পরপর বিস্ফোরণের পর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল যেন মৃত্যুপুরী-তে পরিণত হয়েছে। শিশু..মহিলা থেকে বৃদ্ধ...ছিন্নভিন্ন দেহগুলোর মধ্যে কে নেই! বিস্ফোরণের পরে বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাস্তায় সার দিয়ে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। বিমানবন্দরের বাইরের পরিখাতেও ভাসছে মৃতদেহ। শতাধিক মানুষের পরিচয় এখনও জানা যায়নি!
বিস্ফোরণে এতগুলো মানুষের প্রাণ চলে যাওয়ার পরে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি জারি করে বলেছে,কাবুলে আত্মঘাতী হামলার ঘটনা চরম নিন্দনীয়। এই ঘটনা আরও একবার বুঝিয়ে দিল, সন্ত্রাসবাদী আর সন্ত্রাসবাদের মদতদাতাদের বিরুদ্ধে সঙ্ঘবদ্ধ হতে হবে বিশ্বকে। নৃশংস এই ঘটনার দায় স্বীকার করে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের খোরাসান শাখা। আইএস-এর আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে মার্কিন নাগরিকদেরও। তাঁদের মধ্যে US মেরিন সার্ভিসের ১৩ জন জওয়ান।বৃহস্পতিবার রাতে সেকথা বলতে গিয়ে গলা বুজে আসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। তারপরই এই প্রত্যাঘাত।