তাওয়াং চিনের, মেনে নিতে বলল বেজিং, পত্রপাঠ খারিজ নয়াদিল্লির
বেজিং: ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা মেটাতে নতুন পন্থা বাতলাল চিন।
বেজিংয়ের দাবি, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংকে যদি চিনের অংশ হিসেবে মেনে নেয় ভারত, তাহলে সীমান্ত সমস্যার সমাধান সম্ভব। বেজিংয়ের এই দাবিকে অবশ্য পত্রপাঠ খারিজ করেছে নয়াদিল্লি।
২০০৩ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত চিনের সীমান্ত সংক্রান্ত মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিযুক্ত দাই বিঙ্গুয়ো সম্প্রতি চিনা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পূর্ব সীমান্তে (অরুণাচল) চিনের উদ্বেগের জায়গা নিয়ে ভারত ‘সমঝোতায়’ এলে, ভারতের উদ্বেগ সমাধানে চিনও এগিয়ে যাবে।
বিঙ্গুয়োর দাবি, তাওয়াং সহ ভারত-চিন সীমান্তের পূর্ব সেক্টরে বিতর্কিত অঞ্চল চিনের তিব্বতের সঙ্গে সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট ও প্রশাসনিক এক্তিয়ারের দিক দিয়ে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। তিনি যোগ করেন, তদানিন্তন ব্রিটিশ সরকারের টেনে দেওয়া ম্যাকমোহন লাইন-এ তাওয়াংয়ের ওপর চিনের দাবিকেই স্বীকার করেছে।
যদিও, তিনি এটা পরিষ্কার করেননি, বদলে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের(এলএসি) ঠিক কোন জায়গায় চিন ভারতকে ছাড় দেবে। বিঙ্গুয়োর এই সাক্ষাতকার জানুয়ারি মাসে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
এদিকে, চিনের এই দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লির সাফ জবাব, বিঙ্গুয়োর প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয়। তাই ভারতের পক্ষে তা বিবেচনা করার প্রশ্নই ওঠে না। কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের মতে, এটা অবিশ্বাস্য যে তাওয়াং চিনের অংশ। কারণ, ১৯৫০ সাল থেকে তাওয়ায়ের প্রতিনিধি সংসদে আসছেন। ওই আধিকারিক যোগ করেন, ঐতিহাসিক দিক দিয়েও ওই বিতর্কিত অংশের অধিকাংশটাই ভারতের দখলে। ভারতের জবাব, আর সীমান্তরেখা যখন ভারত বা চিন কেউ-ই টানেনি, তখন ঔপনিবেশের ভূত ঘাড়ে চাপিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নষ্ট করার কোনও চেষ্টাই করা উচিত নয়।