মায়ানমারের সঙ্গে সন্ত্রাস মোকাবিলা সহ ১১টি চুক্তি স্বাক্ষর ভারতের
নেপিদও: আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে কঠোর হাতে যে সন্ত্রাসের মোকাবিল করা প্রয়োজন, তা স্বীকার করল ভারত ও মায়ানমার।
বুধবার, বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মায়ানমার স্টেট কাউন্সেলর আং সান সু চি। সেখানে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাস এবং চরমপন্থা হিংসা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
উভয় দেশই সহমতে পৌঁছয় যে সন্ত্রাসের মোকাবিলা জঙ্গি ও জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে সীমাবদ্ধ না রেখে তাদের মদতদাতাদের বিরুদ্ধেও করা উচিত। দুই রাষ্ট্রনেতাই মনে করেন, যারা সন্ত্রাসকে উৎসাহ, সমর্থন ও অর্থ জোগান দিয়ে সহায়তা করে থাকে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
উভয় দেশই মনে করে, সন্ত্রাস বরাবরই মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। ফলে, জঙ্গিদের কোনওভাবেই শহিদ বলে দেখানো উচিত নয়। একইসঙ্গে, সন্ত্রাসদমনে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে উভয় দেশই। এদিন মায়ানমার জানিয়ে দেয়, তারা তাদের ভূখণ্ডকে ভারতের বিরুদ্ধে কার্যকলাপে ব্যবহার হতে দেবে না।
এদিন মায়ানমারের সঙ্গে মোট ১১টি চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত। এর মধ্যে রয়েছে—সমুদ্রে নিরাপত্তা সহযোগিতা, ভারত-মায়ানমার তথ্যপ্রযুক্তি দক্ষতা বৃদ্ধি কেন্দ্র গঠন, স্বাস্থ্য ও মেডিসিন। এর পাশাপাশি, জাহাজ-সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়, মায়ানমারের নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা, সংস্কৃতি আদানপ্রদানও রয়েছে।