Earthquake: ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্প, মৃত ৮, আহত ৩৯
ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.১। তাতেই বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহতা ধরা পড়েছে। সংস্থার মুখপাত্র রাদিত্য যাতি জানিয়েছেন, কম্পনের তীব্রতায় লুমাজাং, মালাঙ্গ, ব্লিটার,জেমবার, ট্রেনজালেকে বিস্তর ক্ষতি হয়েছে।এইসব জেলায় ১১৮৯টা বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
জাকার্তা : ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া। কম্পনের তীব্রতায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ইস্ট জাভা প্রভিন্স। এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ জন। আহতের সংখ্যা ৩৯ ছাড়িয়েছে।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.১। তাতেই বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহতা ধরা পড়েছে। সংস্থার মুখপাত্র রাদিত্য যাতি জানিয়েছেন, কম্পনের তীব্রতায় লুমাজাং, মালাঙ্গ, ব্লিটার,জেমবার, ট্রেনজালেকে বিস্তর ক্ষতি হয়েছে। এইসব জেলায় ১১৮৯টা বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
ইস্ট জাভা প্রভিন্সের বহু সরকারি বিল্ডিং ভেঙে পড়েছে। রক্ষে পায়নি ধর্মীয় প্রার্থনা স্থলও। সেখানেও ভূমিকম্পের ভয়াবহতা ধরা পড়েছে। রবিবারের ভূমিকম্পে সরকারি অফিস বিল্ডিং, স্কুল ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাসপাতাল। ইতিমধ্যেই আশ্রয়হীনদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে এলাকা স্বাভাবিক করতে হাত লাগিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।অনেক জায়গায় ধ্বংসাবশেষের নীচে আহতদের থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আটকদের সন্ধানে জোর তল্লাশি চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।
ইস্ট প্রভিন্স প্রশাসন আক্রান্তদের খাওয়ার জন্য ভাত, নুডলস ও ফাস্ট ফুডের ব্যবস্থা করেছে।জায়গায় জায়গায় অস্থায়ী শিবির গড়ে তোলা হচ্ছে।যেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কম্বল ও ত্রিপল দিয়েছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুর ২টোর সময় ৬.১ তীব্রতার এই ভূমিকম্পের জেরে তছনছ হয়ে যায় ইস্ট জাভা প্রভিন্সের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ভূমিকম্পের উৎস স্থল ছিল কোপাঞ্জন শহর থকে ৯৬ কিলোমিটার দক্ষিণে। যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮০ কিলোমিটার নীচে।
ইন্দোনেশিয়ার সাম্প্রতিক অতীত বলছে, একের পর একে প্রাকৃতির বিপর্যয়ে আক্রান্ত দেশ। কিছু দিন ধরেই এখানে বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে চলেছে।সম্প্রতি ইস্ট নুসা টেঙ্গারা প্রভিন্স এরকমই একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সাক্ষী থেকেছে। যেকানে সাইক্লোন থেকে বন্যা ও ধসের সৃষ্টি হয়। যার জেরে প্রাণ হারান ১৬৭ জন মানুষ। এখনও ৪০ জন নিখোঁজ। ধস-বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল। প্রিয়জনদের হারিয়ে হাহাকার শুরু হয়েছে পরিবারে।স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চলছে জীবনযুদ্ধ।