এক্সপ্লোর
Advertisement
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন সু কি-র দূত, বৈঠকের পর দাবি বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর
ঢাকা: মায়ানমারের সর্বময় কর্ত্রী আং সান সু কি-র প্রতিনিধি কও টিন্ট সু-র সঙ্গে সোমবার তাঁর কথা হয়েছে এবং মায়ানমার বাংলাদেশে গত কয়েক সপ্তাহে চলে আসা হাজার হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বলে দাবি করলেন শেখ হাসিনা সরকারের বিদেশমন্ত্রী এ এস মাহমুদ আলি।
আলোচনার ব্যাপারে বিস্তারিত না জানালেও বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রকাশ, সু কি-র দূত রোহিঙ্গাদের সুষ্ঠুভাবে ফেরত্ নেওয়ার ব্যাপারে একটি ওয়ার্কিং গোষ্ঠী গঠন করতে সম্মত হয়েছেন।
ঢাকায় সু কি-র দূতের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সৌহার্দ্যের পরিবেশেই আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেয় মায়ানমার। এ ব্যাপারে সমন্বয় গড়ে তুলতে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরির প্রস্তাবে সায় দিয়েছে দু দেশই। রাষ্ট্রপুঞ্জকে যেহেতু ডাকা হয়নি, তাই জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরীক্ষা করে দেখবে।
যদিও রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে কোনও সময়সীমার উল্লেখ করেননি তিনি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান শীঘ্রই মায়ানমার যাবেন বলে খবর।
বাংলাদেশের তরফে মায়ানমারের প্রতিনিধিকে উদ্বাস্তুদের সুষ্ঠু ভাবে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে একটি প্রস্তাবিত চুক্তির খসড়া দেওয়া হয়। সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে আন্নান কমিশনের রিপোর্ট রূপায়ণের সুপারিশও করা হয়।
বিদেশমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স অর্থাত্ বিন্দুমাত্র সহ্য না করার বাংলাদেশের নীতির কথা পুনরায় জানানো হয়। নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোহিতার ব্যাপারেও ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।
নোবেলজয়ী সু কি রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক বাহিনীর অত্যাচারের অভিযোগ উঠলেও কোনও হস্তক্ষেপ করেননি বলে অভিযোগে সরগরম আন্তর্জাতিক মহল। গত মাসে এ প্রসঙ্গে মুখ খুলে সু কি জানিয়েছিলেন, মায়ানমার 'বৈধ' উদ্বাস্তুদের ফিরিয়ে নেবে। ১৯৯৩ সালে মায়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে যে মাপকাঠির ভিত্তিতে কয়েক হাজার রোহিঙ্গার মায়ানমারে প্রত্যাবর্তন হয়েছিল, সেই মাপকাঠি মেনেই এবার ফেরানো হবে ওদের।
সু কি-র প্রতিনিধির কোনও বক্তব্য অবশ্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যেই মায়ানমারে হিংসার অবসান ঘটিয়ে সে দেশে নিরাপদ জোন তৈরির আবেদন জানান যাতে সেখানে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে রাখা যায়।
প্রজন্মের পর প্রজন্ম মায়ানমারে বসবাস করলেও রোহিঙ্গারা সে দেশের স্বীকৃত নাগরিক নন। মায়ানমার প্রশাসন, সেনার দাবি, ওরা বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে আসা বেআইনি অনুপ্রবেশকারী।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
ক্রিকেট
জেলার
Advertisement