North Korea Missile Test:যুদ্ধের আঁচে ঘুম ছুটেছে বিশ্বের, তার মধ্যেই ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া
North Korea Missile Test: রবিবার সকালে পিয়ংইয়ং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন পূর্ব উপকূলের সুনান থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয় বলে জানা গিয়েছে।
টোকিয়ো: রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি (Russia Ukraine War) নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। তার মধ্যে ফের উত্তেজনা বাড়ালেন উত্তর কোরিয়ার (North Korea) শাসক কিম জং উন (Kim Jong-un)। ফের শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল তাঁর দেশ (North Korea Missile Test)। চলতি বছরের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে অষ্টম বার তারা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল বলে দাবি জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার।
রবিবার সকালে পিয়ংইয়ং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন পূর্ব উপকূলের সুনান থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয় বলে জানা গিয়েছে। দক্ষিণ কোরীয় সেনার চিফ অফ স্টাফ জানিয়েছেন, এ দিন যে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়ে উত্তর কোরিয়া, সেটি জাপানের দিকে সমুদ্রে গিয়ে পড়ে। ওই বিমানবন্দর থেকে আগেও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা হয়েছে বলে দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার।
অন্য দিকে, জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নবুও কিশি জানিয়েছেন, ভূমি থেকে ৬০০ কিলোমিটার উচ্চতা দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি উড়ে যায়। সেটির পাল্লা ছিল প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সক্ষম। নবুও বলেন, ‘‘বছরের গোড়া থেকেই লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছে উত্তর কোরিয়া। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করে তুলছে তারা।’’ উত্তর কোরিয়ার এই আচরণ জাপান এবং আন্তর্জাতিক মহলের জন্য বিপজ্জনক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে, গত ৩০ জানুয়ারি হোয়াসং-১২ নামের মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। ভূমি থেকে প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার উপর দিয়ে উড়তে সক্ষম ওই ক্ষেপণাস্ত্র। পাড়ি দিতে সক্ষম প্রায় ৮০০ কিলোমিটার পথ। জানুয়ারিতে এমন মাঝারি পাল্লার বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র তারা পরীক্ষা করেছে বলে জানা গিয়েছে।টোকিয়োর দাবি, জানুয়ারি মাসে ৫ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রেরও পরীক্ষা করে পিয়ংইয়ং। এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে উত্তর কোরিয়া জাপান তো বটেই, আমেরিকার উপরও হামলা করতে পারে বলেও দাবি উঠছে।
এর আগে নিজে থেকেই বেশ কয়েক সপ্তাহ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ রেখেছিল উত্তর কোরিয়া। পরমাণু শক্তি সম্প্নন ক্ষেপণাস্ত্র নিয়েও পীরক্ষা নিরীক্ষা সাময়িক বন্ধ রাখে তারা। কিন্তু ২০২২-এর গোড়া থেকে সেই অবস্থান থেকে সরে আসতে শুরু করে দেশের সরকার।
উল্লেখ্য, আগামী ৯ মার্চ দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া বার্তা দিতে চাইছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল। দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, রাশিয়া এবং ইউক্রেন নিয়ে এই মুহূর্তে ব্যস্ত গোটা বিশ্ব। সেই ফাঁকে নিজেদের ক্ষমতার আস্ফালন করছে উত্তর কোরিয়া।