PM Modi in Dhaka: শনিবার বাংলাদেশের ওড়াকান্দিতে মতুয়া-তীর্থক্ষেত্র দর্শনে মোদি
সাতক্ষীরায় যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে পুজো দেওয়ারও কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা: বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের ৫০ বছর। বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের জন্ম শতবর্ষ। ঐতিহাসিক এই সন্ধিক্ষণে উপস্থিত থাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তবে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের স্বর্ণজয়ন্তী বা বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের জন্ম শতবর্ষ নয়, মোদির এই সফরের যাবতীয় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ওড়াকান্দি।
শনিবার এ রাজ্যে যখন প্রথম দফার ভোট শুরু হবে, তখন নরেন্দ্র মোদি যাবেন ওড়াকান্দিতে। সেখানেই মতুয়া ধর্মমতের প্রবক্তা হরিচাঁদ ঠাকুর ও তাঁর ছেলে গুরুচাঁদ ঠাকুরের জন্মস্থান। এই ওড়াকান্দিকেই মতুয়াদের সর্বোচ্চ তীর্থক্ষেত্র ধরা হয়।
তবে ভোটের মুখে বাংলাদেশ সফরত মোদির ওড়াকান্দি সফর নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ, কৌশলে ভোটমুখী বাংলার মতুয়া আবেগ উসকে দিতে চান প্রধানমন্ত্রী।
বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা সারাভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর বলেন, ওড়াকান্দিতে আসছেন মোদি। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় যাবেন। এর অর্থ, অদূর ভবিষ্যতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সুদৃঢ় হতে চলেছে। দুদেশের প্রধানমন্ত্রী একে অপরের সঙ্গে যত বেশি সাক্ষাৎ করবেন, ততই ভাল।
শান্তনু এখন রয়েছেন ওড়াকান্দিতেই। এদিন ঢাকায় তিনিও মোদিকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন। বলেন, ওড়াকান্দিতে মোদির সফর মতুয়া, নমসুদ্র, রাজবংশী সহ বিভিন্ন পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে বিশ্বমঞ্চে পৃথক পরিচয় দেবে।
এই সফরে সাতক্ষীরায় যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে পুজো দেওয়ারও কথা রয়েছে নরেন্দ্র মোদির। সেই উপলক্ষে মন্দিরকে নতুন সাজে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। মন্দির চত্বর ভরে উঠেছে বিভিন্ন ফ্ল্যাগ-ব্যানারে। একইসঙ্গে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
শুক্রবার সকালে ঢাকা বিমানবন্দরে নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানান নরেন্দ্র মোদি।
এরপর প্যারেড গ্রাউন্ড অডিটোরিয়ামে বক্তৃতা। বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১-এর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ থেকে দুই বাংলার মনীষী - সবার কথাই ঘুরে ফিরে আসে মোদির কথায়। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, ফিল্ড মার্শাল স্যাম মানেকশ’র ভূমিকাও উল্লেখ করেন মোদি। ফিরে যান আন্দোলনের স্মৃতিতে।
বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য, তাঁদের জীবন সংগ্রামে সামিল হওচয়া আমার জীবনে প্রথম আন্দোলন ছিল। তখন ২০-২২ বছর বয়স। তখন আমরা বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার জন্য আমরা আন্দোলন করি। জেলেও যেতে হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যতটা এখানে উৎসুক ছিলেন, ততটাই ওখানেও ছিল।