ইরাক-ইরান সীমান্তে ৭.৩ তীব্রতার ভূমিকম্প, মৃতের সংখ্যা চারশো ছাড়াল, আহত প্রায় ৬৭০০
তেহরান: ইরান-ইরাক সীমান্তের কাছে শক্তিশালী ৭.৩ ভূমিকম্পে দুই দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়াল।
রবিবার রাতে হওয়া এই শক্তিশালী ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরানের পশ্চিম কেরমানশাহ প্রদেশ। আধিকারিকদের দাবি, ইরানে ৪০৭ জন মারা গিয়েছেন। আহতের সংখ্যা প্রায় ৬৭০০। কেরমানশাহ প্রদেশ মূলত পার্বত্য গ্রামাঞ্চল। সেখানকার মানুষের মূল জীবিকা হল কৃষি। অন্যদিকে, ইরাকে এখনও পর্যন্ত ৭ জনের মারা যাওয়ার খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন ৫৩৫ জন। ভূমিকম্পের প্রভাব মূলত উত্তর কুর্দ অঞ্চলে সীমাবদ্ধ ছিল।
ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানাচ্ছে, পূর্ব ইরাকের হালাবজা শহর থেকে ৩১ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৩ কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। রবিবার রাত প্রায় পৌনে ১০টা নাগাদ (ইরানের সময়) ভূমিকম্প অনুভূত হয়। কম্পনের তীব্রতা এতটাই জোরে ছিল যে তা এক হাজার কিলোমিটার দূরে ভূমধ্যসাগর অঞ্চলেও অনুভূত হয়।
ইরানি টেলিভিশনের খবর, ভূমিকম্পের পরই প্রচুর মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। অনেকে অন্যত্র চলে যান। বিপন্নদের সাহায্যে পাঠানো হয়েছে ৩৫টি উদ্ধারকারী দল।ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, মূল ভূমিকম্পের পর প্রায় ১০০টি আফটারশক অনুভূত হয়। কম্পনের জেরে পশ্চিম ইরানের সরপোল-এ-জাহাব, মেহরান ও ইলম শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ চলে যায়।
ইরানের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, কম্পনে দেশের অন্তত ১৪টি প্রদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষত কারমানশাহ ও ঘসর এ শিরিনের পরিস্থিতি রীতিমত উদ্বেগজনক। এই দুই শহরের বাসিন্দারা বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন। ইরান অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা, প্রায় প্রতিদিন কম্পন অনুভূত হয় এখানে। ২০০৩ সালে ৬.৬ মাত্রার কম্পনে ঐতিহাসিক শহর বাম মাটিতে মিশে যায়, প্রাণহানি হয় ২৬,০০০ মানুষের।