Russia Ukraine War: স্বার্থসিদ্ধি করতে রাশিয়াকে প্ররোচিত করেছেন জেলেনস্কিই, দাবি ইউক্রেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আজারভের
Russia Ukraine War: শুক্রবার ইউক্রেনের জেপোরজিয়া পরমাণু কেন্দ্রের (Zaporizhzhia Nuclear Power Plant) একটি রিঅ্যাক্টরে আগুন লেগে যায়। তাতে ১৯৮৬-র চেরনোবিলের ভয়াবহ স্মৃতি ফিরে আসে নতুন করে।
কিভ: সাময়িক যুদ্ধবিরতির (Russia Ukraine Temporary CEasefire) ঘোষণা হলেও, রক্তক্ষয় শেষ হওয়ার লক্ষণ নেই এখনও পর্যন্ত। তার মধ্যেই অভ্যন্তরীণ তরজায় তেতে উঠতে শুরু করল ইউক্রেনের রাজনীতি (Russia Ukraine War)। ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy) প্ররোচনা দেওয়াদেই পরমাণু কেন্দ্রে রাশিয়া আঘাত হেনেছে বলে এ বার দাবি করলেন ইউক্রেনেরই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মিকোলা আজারভ (Mykola Azarov)। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম স্পুটনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেছেন তিনি।
স্পুটনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আজারভ বলেন, “অবশ্যই ইচ্ছাকৃত ভাবে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল। প্রথমত, কোনও সুস্থ বুদ্ধিসম্পন্ন রুশ বা ইউক্রেনীয় সৈনিক ইউরোপের বৃহত্তম পরমাণু কেন্দ্রে এই ধরনের প্ররোচনা জোগানোর সাহস দেখাবে না। তাই এটা পূর্ব পরিকল্পিত প্ররোচনা। দ্বিতীয়ত, ঘটনার পর রাতেই জেলেনস্কি যে ভাবে প্রতিক্রিয়া জানান, সরাসরি আমেরিকা এবং ব্রিটেনকে বার্তা দিতে মিথ্যে তথ্যের আশ্রয় নেন, তাতেই বোঝা যায় যে পরিকল্পনা করে প্ররোচনা জোগানো হয়। ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধ করতেই এ ভাবে প্ররোজনা জোগান জেলেনস্কি।”
শুক্রবার ইউক্রেনের জেপোরজিয়া পরমাণু কেন্দ্রের (Zaporizhzhia Nuclear Power Plant) একটি রিঅ্যাক্টরে আগুন লেগে যায়। তাতে ১৯৮৬-র চেরনোবিলের ভয়াবহ স্মৃতি ফিরে আসে নতুন করে। রুশ সেনা ওই পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে ইউক্রেন সরকার। রাশিয়াকে সন্ত্রাসী দেশ বলে অভিহিত করে জেলেন্সকি বলেন, “মানব সভ্যতার ইতিহাসে এমন নিদর্শন নেই। রাশিয়া ছাড়া আর কোনও দেশ পরমাণু কেন্দ্রে আক্রমণ চালায়নি। ইতিহাসে এই প্রথম। সন্ত্রাসী দেশটি এখন পারমাণবিক সন্ত্রাস নেমেছে।”
আরও পড়ুন: Russia Ukraine War: সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা রাশিয়ার, ১০ দিন ধরে রক্তক্ষয়ের পর সিদ্ধান্ত
যদিও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায়, ওই পরমাণু কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টহল দিচ্ছিল তাদের সেনা। লেই সময় তাদের প্ররোচনা জোগায় ইউক্রেনীয় সেনা। পরমাণু কেন্দ্রের একটি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ ভবনের জানলা দিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে তারা। তার পাল্টা জবাব দেয় রুশ সেনা। পরমাণু কেন্দ্র এবং তার আশেপাশের এলাকা যাতে তেজস্ক্রিয় দূষণে ভরে যায়, তার জন্যই পরিকল্পিত ভাবে রুশ সেনাকে প্ররোচিত করা হয় বলে অভিযোগ করে রাশিয়া। তার পরই জেলেনস্কিকে সরাসরি তার জন্য কাঠগড়ায় তুললেন আজারভ।
এ দিকে, ইউক্রেনের আকাশসীমা বন্ধের আর্জি খারিজ করেছে ন্যাটো। রুশ বিমান ঢুকে যাতে বোমা-ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করতে না পারে, তার জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের আর্জি জানায় ইউক্রেন সরকার। কিন্তু সেই প্রস্তাবে সদস্যদেশগুলির একটিও রাজি হয়নি বলে জানায় ন্যাটো। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য নয়। তাই তাদের আকাশসীমা বন্ধ করতে হলে রুশ বিমানকে গুলি করে নামাতে হবে ন্যাটো এবং সদস্য দেশগুলিকে। রাশিয়ার সঙ্গে এ ভাবে সরাসরি যুদ্ধে যেতে রাজি নয় কেউ।