Ukraine Russia War: চতুর্দিকে বিস্ফোরণ, সাইরেনের শব্দ, দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসার মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা জানালেন প্রাক্তন মিস ইউক্রেন
Ukraine Russia War:কিন্তু সেখানে পৌঁছোনোর আগে পর্যন্ত এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে সাইরেনের আওয়াজ শোনেননি, কানে আসেনি রকেট আছড়ে পড়া বা বিস্ফোরণের ভয়াবহ শব্দ।
লস অ্যাঞ্জেলেস: গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছিল রাশিয়া। তারপর থেকে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে আছড়ে পড়ছে রাশিয়ার গোলাগুলি। রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেনের সাজানো-গোছানো শহরগুলি এখন কার্যত ধ্বংসস্তুপ। অনেক শহরে রাস্তায় পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। অনেক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। প্রাণভয়ে এখন ইউক্রেন ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। রুশ আক্রমণে মৃত্যু উপত্যকা হয়ে ওঠা এতদিনের বসতবাড়ি ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন অনিশ্চয়তার উদ্দেশে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মিস ইউক্রেন ভেরোনিকা দিদুসেঙ্কো। ইউক্রেনে রুশ হামলার পর সাত বছরের ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে আসার মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ভেরোনিকা। দেশে রুশ আক্রমণ প্রতিরোধ ও দেশের মানুষের হাতে আরও বেশি হাতিয়ার ও অন্যান্য সামগ্রী প্রদানের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে আর্জি জানিয়েছেন।
২০১৮ সালে ইউক্রেনের সুন্দরী প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছিলেন ভেরোনিকা। তিনি জানিয়েছেন, রুশ আক্রমণের প্রথম দিন আকাশ পথে হামলা, বিস্ফোরণ ও সাইরেনের তীব্র আওয়াজে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল তাঁর ও তাঁর ছেলের। ঘুম থেকে উঠে দেখেন, লহমায় বদলে গিয়েছে চেনা পরিবেশ। আতঙ্কে ততক্ষণে রাস্তায় শহর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার হিড়িক। রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ। ওই ভিড়ের মধ্যে সাত বছরের ছেলের হাত ধরে সামিল হন ভেরোনিকা।
কিন্তু পালিয়ে যাবেন কোথায়! কোথায় নিরাপদ স্থান! উদ্দেশ্য ইউক্রেন সীমানা। কিন্তু সেখানে পৌঁছোনোর আগে পর্যন্ত এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে সাইরেনের আওয়াজ শোনেননি, কানে আসেনি রকেট আছড়ে পড়া বা বিস্ফোরণের ভয়াবহ শব্দ।
মহিলাদের অধিকারের জন্য আন্দোলনকারী মার্কিন অ্যাটর্নি গ্লোরিয়া এলরেডের লস অ্যাঞ্জেলের অফিসে আয়োজিত একটি সাংবাদিক বৈঠকে নিজের পালিয়ে আসার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন প্রাক্তন মিস ইউক্রেন।
মার্কিন অ্যাটর্নি জানিয়েছেন, ভেরোনিকা ও তাঁর ছেলে কোনওভাবে ইউক্রেন থেকে বেরিয়ে এসে মল্টোভায় পৌঁছন এবং সেখান থেকে সুইতজারল্যান্ডের জেনোভাতে আসেন। পালিয়ে এসেও দেশের অবস্থায় এখন মন কাঁদছে ভেরোনিকার।