রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় কাশ্মীর-প্রসঙ্গ তুলতে পারেন, ইঙ্গিত মহাসচিবের
আগামী সপ্তাহে বসছে উচ্চ-পর্যায়ের রাষ্ট্রপুঞ্জ সাধারণ সভার সম্মেলন।
সংযুক্ত রাষ্ট্রপুঞ্জ: আগামী সপ্তাহে বসছে উচ্চ-পর্যায়ের রাষ্ট্রপুঞ্জ সাধারণ সভার সম্মেলন। সেখানে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। ওই সম্মেলনে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা করতে পারেন বলে দাবি করেছেন তাঁর মুখপাত্র স্তেফান দুহারিক। তিনি বলেন, মহাসচিব মনে করেন, একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। একইসঙ্গে, কাশ্মীরে মানবাধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করাটাও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছেন মহাসচিব। বুধবার, রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব গুতেরেস বলেছিলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে সমাধান-সূত্র পেতে হলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, উভয় দেশ রাষ্ট্রপুঞ্জের সহায়তা চাইলে তাঁর দফতর সর্বদা খোলা। একইসঙ্গে, তিনি কাশ্মীরে মানবাধিকার রক্ষার আহ্বানও জানান। যদিও, তিনি মনে করিয়ে দেন, তাঁর দফতর তখনই সহায়তা করতে এগিয়ে আসতে পারে, যখন উভয় দেশ তাতে সম্মত হবে। আর সেই সহায়তা কেবলমাত্র যে পরামর্শতেই সীমাবদ্ধ থাকবে, তাও মনে করিয়ে দেন তিনি। নয়াদিল্লি বরাবর জানিয়ে এসেছে যে, কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে তৃতীয় কোনও পক্ষের হস্তক্ষেপ বা মধ্যস্ততার প্রয়োজন নেই। প্রসঙ্গত, জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করার পরই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র চাপানউতর শুরু হয়েছে। গতমাসেই জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভেঙে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ ২টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করেছে ভারত। এই মর্মে সংসদের উভয়কক্ষে পাস হয়ে গিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল। মিলেছে রাষ্ট্রপতির সম্মতিও। পাকিস্তান বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। জম্মু ও কাশ্মীর হল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ফলত, এখানে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপ করার কোনও এক্তিয়ার নেই। এই সত্যিটা ইসলামাবাদ যত দ্রুত বুঝবে ততই মঙ্গল।