Yaas Cyclone: ফ্রেজারগঞ্জে উত্তাল সমুদ্র, উল্টে গেল পে লোডার
হু হু করে আশপাশের গ্রামগুলোতে জল ঢুকতে শুরু করেছে। জলের তোড়ে উল্টে যায় পে লোডারের মতো ভারী যন্ত্রও। আশপাশের বাড়িগুলো জলমগ্ন। আশ্রয়হীন বহু মানুষ।
ফ্রেজারগঞ্জ: আছড়ে পড়ার আগে রুদ্ররূপ। ভয়ানক পরিস্থিতি ফ্রেজারগঞ্জে, উল্টে গেল পে লোডার । দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জে উত্তাল সমুদ্র। হু হু করে আশপাশের গ্রামগুলোতে জল ঢুকতে শুরু করেছে। জলের তোড়ে উল্টে যায় পে লোডারের মতো ভারী যন্ত্রও। আশপাশের বাড়িগুলো জলমগ্ন। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন বহু মানুষ। ফ্রেজারগঞ্জে ঝড়ে গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ৬৮ কিলোমিটার।
শুধু ফ্রেজারগঞ্জই নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জুড়ে কোথাও ভেঙেছে বাঁধ। কোথাও আবার প্রবল ঝড় বৃষ্টি। জলোচ্ছ্বাসের জেরে গোসাবার গোমর নদীতে জলস্তর বাড়ায় বেশ কিছু জায়গায় নদী বাঁধে ধস নেমেছে। গোসাবা পাখিরালয়ের দয়াপুর ঘাট সংলগ্ন নদী বাঁধে মাটিবোঝাই বস্তা ফেলার কাজ চলছে। হাত লাগিয়েছেন গ্রামবাসীরা। রায়দিঘির কৈলাসপুর গ্রামে মৃদঙ্গভাঙা নদীতে বাঁধে ফাটল। বাঁধ সারানোর কাজ শুরু করেন গ্রামবাসীরা। প্রবল জলোচ্ছ্বাসে কাকদ্বীপ, নামখানা, মৌসুনি, সাগর ও পাথরপ্রতিমায় বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা। আশপাশের গ্রামগুলোতে প্লাবিত হতে পারে। আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। ইতিমধ্যেই মৌসুনি দ্বীপের বালিয়াড়ায় জল ঢুকতে শুরু করেছে। পাথরপ্রতিমাতেও বাঁধ টপকে জল ঢুকছে আশাপাশের গ্রামগুলোতে। সকাল ৭টা নাগাদ সাগর দ্বীপের ঝাউঘেরি গ্রামে বাঁধ টপকে জল ঢুকতে শুরু করেছে। আতঙ্কিত গ্রামবাসীদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যায় প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগে বকখালিতে প্রবল বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ইতিমধ্যেই প্রায় ৩ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, দ্রুত এগোচ্ছে ইয়াস। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে দিঘা থেকে ৮০ কিমি দূরে রয়েছে। ওড়িশার ধামড়া থেকে এই মুহূর্তে ৪০ কিলোমিটার ও বালেশ্বর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। বেলার দিকে আছড়ে পড়তে চলেছে ধামড়া ও বালেশ্বরের মাঝামাঝি স্থলভূমিতে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০-১৪০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ কলকাতায় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। দিঘায় সকাল সাড়ে ৬টায় ইয়াসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার। আছড়ে পড়ার আগেই প্রভাব দেখাতে শুরু করেছে ইয়াস। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও নদিয়াতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।