Yogi Adityanath : মোদির অবসর-জল্পনার মধ্যেই মুখ খুললেন যোগী আদিত্যনাথ, ভবিষ্যৎ নিয়ে দিলেন বিশেষ ইঙ্গিত
সত্যই কি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কথা ভাববে বিজেপি হাইকমান্ড? এই সব প্রশ্নের আবহে মুখ খুললেন যোগী।

নয়াদিল্লি : ১২ বছর পর এই প্রথমবার । প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবার RSS-এর সদর দফতরে যান নরেন্দ্র মোদি। সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে ভাগ করে নেন মঞ্চ। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানারকমের জল্পনা। শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীর মুখপাত্র উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীরসঞ্জয় রাউত কটাক্ষ করে বলেন, ডিসেম্বর মাসে অবসরের আবেদন জমা দিতে আরএসএসের সদর দফতরে গেছিলেন নরেন্দ্র মোদি'। তিনি আরও বলেন, 'মোহন ভাগবত ও সঙ্ঘ দেশে বদল আনতে চায়...নরেন্দ্র মোদির সময় শেষ, দেশে বদল আনতে চায় আরএসএস'। সঞ্জয় আরও দাবি করেন, দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবেন মহারাষ্ট্র থেকে। এর পরেই জল্পনা তুঙ্গে ওঠে, তবে কি এবার অবসরের কথা ভাবছেন নরেন্দ্র মোদি? তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কারও কারও মতে মোদির উত্তরসূরী হতে পারেন যোগী। সত্যই কি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কথা ভাববে বিজেপি হাইকমান্ড? এই সব প্রশ্নের আবহে মুখ খুললেন যোগী।
ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কি জনসাধারণ তাঁকে চাইবেন ? প্রশ্ন করা হয় যোগীকে। তবে আদিত্যনাথ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, তিনি রাজনীতিকে তাঁর পূর্ণসময়ের কাজ বলে মনে মনে করেন না। যোগীর কথায় , 'দেখুন, আমি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, দল আমাকে উত্তর প্রদেশের মানুষের জন্য এই পদে রেখেছে এবং রাজনীতি আমার জন্য পূর্ণসময়ের কাজ নয়। বর্তমানে,আমি এই দায়িত্ব পালন করছি কিন্তু বাস্তবে,আমি একজন যোগী" । তবে যোগীর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, 'যতক্ষণ এখানে আছি, কাজ করছি... এরও একটি সময়সীমা আছে।'
ধর্ম ও রাজনীতি নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে যোগী বলেন, 'আমরা ধর্মকে একটি সীমিত স্থানে সীমাবদ্ধ রাখি এবং রাজনীতিকে মুষ্টিমেয় মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখি, এবং সেখানেই সমস্যা দেখা দেয়। রাজনীতি যদি স্বার্থ দ্বারা পরিচালিত হয়, তবে এটি সমস্যা তৈরি করবে। কিন্তু যদি এটি বৃহত্তর কল্যাণের জন্য হয়, তাহলে এটি সমাধান প্রদান করবে।' পরিশেষে যোগী বলেন, "নাম নয়, বরং কাজই মনে রাখা উচিত। একজন ব্যক্তির পরিচয় তার কাজের মাধ্যমে হওয়া উচিত, নাম নয়।"
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকে RSS-এর সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির সম্পর্কের দূরত্ব নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। এই প্রেক্ষাপটেই লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে, এক সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন, বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা। বিজেপি ও RSS-এর মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, 'শুরুতে আমরা (বিজেপি) সেভাবে সক্ষম ছিলাম না। তখন RSS-এর প্রয়োজন পড়ত। আজ আমরা অনেক বড় হয়েছি।আমরা এখন সক্ষম। তাই বিজেপি এখন নিজের মতো করেই চলে। আমরা, আমাদের কাজ নিজেরাই করতে পারি।'এরপর লোকসভা নির্বাচনে 'আপ কি বার, ৪০০- পারের' স্লোগান নিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে থামতে হয় ২৪০-এ। প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি লোকসভা নির্বাচনে RSS তেড়েফুড়ে না নামাতেই ধাক্কা খেলেন নরেন্দ্র মোদি? এই জল্পনার মাঝেই নরেন্দ্র মোদির নাগপুরে পা-রাখা। আবারও উস্কে দিল একটি প্রশ্ন, জে পি নাড্ডার পর পরবর্তী বিজেপি সভাপতি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কি RSS-এর মতামতই কি সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে?
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
