Viral News: প্রায় এক শতক পেরিয়ে চিঠি এসে পৌঁছল লন্ডনের ঠিকানায়
Viral Letter: গবেষণা করে দেখা গেছে, ওই চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে। কেটি মার্শের উদ্দেশে লেখা হয় চিঠিটি। তিনি স্ট্যাম্প ডিলার অসওয়াল্ড মার্শের স্ত্রী ছিলেন।
নয়াদিল্লি: রোজ আমাদের আশেপাশে কত কিছুই তো আজগুবি ঘটে, তার কিছু কিছু জানা যায়, কিছু আবার হারিয়ে যায়। কিন্তু এমন যদি হয়, বহু পুরনো কোনও বন্ধুর লেখা চিঠি হঠাৎ পেলেন হাতে, কেমন লাগবে? নিশ্চয়ই আনন্দিত হবেন। কিন্তু শতক পেরিয়ে গিয়ে হঠাৎ কোনও চিঠি অপর কারও হাতে এসে পড়লে তার ঐতিহাসিক মূল্য ব্যাপক হবে বৈকী! তেমনই ঘটনা ঘটল লন্ডনে। প্রায় শতবর্ষ (Century old) আগে পাঠানো হয়েছিল একটি চিঠি। লন্ডনের (London) ঠিকানায়। অবশেষে লেটারবক্সে এস পৌঁছল সেই চিঠি। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। প্রায় ১০০ বছরেরও বেশি সময় পর গিয়ে চিঠি পৌঁছল একজনের ঠিকানায়। ভাইরাল হয়েছে সেই ছবি।
শতবর্ষ পর...
ব্রিটেনের বাথ অঞ্চল (Bath, United Kingdom) থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয় ডাকে, কিন্তু ১৯১৬ সালের সেই চিঠি যায় হারিয়ে। সেই চিঠি দক্ষিণ লন্ডনের হ্যামলেট রোডে পৌঁছয় ২০২১ সালে। হতবাক সেই বাড়ির বাসিন্দারা। খবর আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রে।
২০২১ সালে থিয়েটার পরিচালক ফিনলে গ্লেনের বাড়ির লেটারবক্সে এসে পৌঁছয় একটি চিঠি যার খামে রাজা পঞ্চম জর্জের স্ট্যাম্পের দেখা মেলে। সংবাদমাধ্যমকে গ্লেন বলেন, 'আমরা দেখি খামে সাল লেখা রয়েছে '১৬। তাই প্রথমে ভেবেছিলাম ২০১৬-এর চিঠি। তারপর হঠাৎ নজর পড়ল স্ট্যাম্পে রাজা রয়েছেন, রানি নন। বুঝতে পারি ২০১৬ সালের চিঠি হতে পারে না সেটা।' যদিও বছর দুয়েক আগেই গ্লেন চিঠিটি পেয়েছিলেন, কিন্তু তিনি সম্প্রতি এটি নিয়ে আরও গবেষণা করার জন্য একটি স্থানীয় ঐতিহাসিক সংস্থাকে সেটি দান করেন।
গবেষণা করে দেখা গেছে, ওই চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে। কেটি মার্শের উদ্দেশে লেখা হয় চিঠিটি। তিনি স্ট্যাম্প ডিলার অসওয়াল্ড মার্শের স্ত্রী ছিলেন। বাথে ছুটি কাটানোর সময় সেখান থেকে কেটির বন্ধু ক্রিসাবেল মেনেল চিঠিটি লিখেছিলেন। এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় ত্রৈমাসিক ইতিহাস ম্যাগাজিন 'দ্য় নরউড রিভিউ'র সম্পাদক স্টিফেন অক্সফোর্ড। তাঁর কথায়, 'স্থানীয় ঐতিহাসিক হিসেবে আমি খুবই উৎফুল্ল এবং অবাক হয়েছিলাম এই চিঠির বিস্তারিত তথ্য পেয়ে।'
আরও পড়ুন: Asteroid to Pass Earth: পৃথিবীর কান ঘেঁষে গ্রহাণু! আয়তনে টেক্কা ১০টা ফুটবল মাঠকে
তবে এই চিঠি যে কীভাবে হারিয়ে গিয়েছিল মাঝপথে এবং এত বছর পর কীকরে তা গ্লেনের ঠিকানায় এসে পৌঁছল তা এখনও স্পষ্ট নয়। 'রয়্যাল মেল'-এর মুখপাত্র বলেন, 'আমরা কৃতজ্ঞ যে ১৯১৬ সালে লেখা এই চিঠির ইতিহাস দেখে মানুষ কৌতূহলী হয়ে উঠবেন, তবে কী ঘটেছিল সে সম্পর্কে আর কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।'