অনেকেই মেদ ঝড়াতে প্রতিদিন হাঁটেন। তবে অভিযোগ করেন তাতেও কোনও লাভ হচ্ছে না। আসলে হাঁটার সময়ে কয়েকটা দিক মাথায় রাখা জরুরি। যতটা পারেন হাঁটাহাঁটি করুন। খুচরো হাঁটায় শরীরের অঙ্গ-প্রতঙ্গরা সচল থাকে তবে এতে খুব একটা মেদ ঝরে না। মেদ ঝরাতে কিছু নিয়ম মেনে হাঁটতে হবে।
2/10
একসঙ্গে অনেকে হাঁটতে বেরবেন না। অনেকেই এই সময় গল্প করতে করতে হাঁটেন। এই অভ্যাসগুলো কিন্তু মেদ কমানোর পথে বাধা হতে পারে।
3/10
মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতেও হাঁটবেন না। এতে হাঁটার গতি কমে যায়।
4/10
একটানা রাস্তা ধরে হাঁটুন। বারবার থমকে হাঁটার চেয়ে টানা হাঁটায় উপকার বেশি।বাড়ির ছাদ বা বারান্দার থেকে রাস্তায় হাঁটা উপকারী। এমন কোনও রাস্তা বাছুন, যেখানে ধোঁয়া, যানজট নেই। গলি হাঁটার জন্য ভাল। যানবাহনের ধোঁয়া এই সময়ে এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
5/10
পোষ্যকে নিয়ে নিয়মিত হাঁটুন। ওজন কমানোর জন্য হাঁটার সময় একা হাঁটুন। দ্রুত হাঁটার সঙ্গে তাল মেলাতে পোষ্যের অসুবিধা হবে।
6/10
দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ বাড়াবে এমন কিছু ভাবতে ভাবতে হাঁটা চলবে না কিছুতেই। বরং সে সব ঠেকাতে ওই সময়টা ইয়ারফোন বা হেডফোনে গান শুনুন। গাড়ির রাস্তায় হেডফোন অবশ্যই এড়িয়ে চলুন।
7/10
নিয়মের সঙ্গে হাঁটার সময়টাও মাথায় রাখা জরুরি। সপ্তাহে অন্তত ২৫০ মিনিট হাঁটতে হবে। দীর্ঘ ক্ষণ হাঁটাহার্টের পক্ষে ভাল। কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
8/10
হাঁটার সময় কী ধরনের জুতো পরছেন, তার দিকে খেয়াল রাখাটাও জরুরি। পায়ের আরাম হয়, এমন জুতো পরুন।
9/10
হাতে বা পিঠে অনক বোঝা নিয়ে হাঁটবেন না। এতে ক্লান্তি বাড়বে, বেশি ক্ষণ হাঁটা সম্ভব হবে না।
10/10
সকালে বা বিকেলে বা সন্ধেয়, যেকোনও সময়েই হাঁটতে পারেন। রাতে খাওয়াদাওয়ার পরেও হাঁটতে পারেন। তবে খুব ভরাপেটে বা একেবারে খালিপেটে হাঁটবেন না। পায়ে বা হাঁটুতে চোট থাকলে বা কোমরের সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই হাঁটার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।