IAS Couple Wedding: অগ্নিশিখা নয়, অম্বেডকরকে সাক্ষী রেখে চারহাত এক হল IAS যুগলের

বিয়ের আসরে টিনা এবং প্রদীপ।

দলিত পরিবারের মেয়ে। ইউপিএসসি পরীক্ষায় শীর্ষ স্থানাধিকারী। ব্যক্তিগত জীবনেও নজির গড়েছেন প্রতি পদে। কখনও তা সুখকর হয়েছে, কখনও আবার হয়নি। তবে অতীতকে পিছনে ফেলে আরও একধআপ এগোলেন টিনা ডাবি। দ্বিতীয় বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন তিনি, তাও আবার ভীমরাও রামজি অম্বেডকরকে সাক্ষী রেখে।

অতি সম্প্রতিই আইএএস অফিসার প্রদীপ গাওয়ান্ডের সঙ্গে বাগদানের কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন টিনা। চলতি সপ্তাহের শুরুতে সারাজীবন একসঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করলেন তাঁরা। পরিবার-পরিজনরা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের বিয়েতে। তবে অগ্নিসাক্ষী করে নয়, অম্বেডকরের ছবির সামনে আজীবন একসঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন।

নেটমাধ্যমে টিনা এবং প্রদীপের বিয়ের ছবি সামনে এসেছে। তাতে পুরোহিত রয়েছেন বটে। তবে অগ্নিশিখা চোখে পড়েনি। বরং অম্বেডকরের মালা পরানো ছবির সামনে হাতে হাত রেখে, গলায় মালা গিয়ে পরস্পরকে গ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে দু’

রাজস্থানে, একেবারে কাছের লোকজনকে নিয়েই বিয়ে সেরেছেন টিনা এবং প্রদীপ। ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া (NSUI)-র জাতীয় সম্পাদক বিনোদ জাখর টিনার বিয়ের কিছু মুহূর্ত তুলে ধরেছেন নেটমাধ্যমে। তাতে নবদম্পতিকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন সকলে।

অত্যন্ত ছিমছাম ভাবে বিয়ের পর রাজস্থানে রিসেপশনেরও আয়োজন করেন নবদম্পতি। সেখানে মেরুন রংয়ের লেহঙ্গায় বধূরূপী টিনা নজর কেড়েছেন সকলের। শেরওয়ানি পরে রিসেপশনে হাজির হন প্রদীপও।

তবে বিয়ের পোশাক ছিল একেবারে সাদামাটা। সোনালী জরির পাড় দেওয়া সাদা রংয়ের শাড়ি পরেছিলেন টিনা। খোঁপায় জড়ানো ছিল সাদা ফুল। প্রদীপের পরনেও ছিল সাদা কুর্তা-পাজামা।

বর্তমানে রাজস্থান অর্থ দফতরের যুগ্ম সচিব হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন টিনা। প্রদীপ রাজস্থান সরকারের প্রত্নতত্ত্ব এবং জাদুঘর বিভাগের ডিরেক্টর। গত মাসেই বাগদানের কথা প্রকাশ করেন তাঁরা। করোনা অতিমারির সময়ই দু’জনের দেখা এবং ঘনিষ্ঠতা।

দলিত কন্যা হিসেবে দেশের প্রথম শীর্ষ স্থানাধিকারী আইএএস টিনা। ২০১৫ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় প্রথম স্থান দখল করেন তিনি। ওই বছর দ্বিতীয় স্থানাধিকারী ছিলেন আতাহার আমির খান। তাঁদের সম্পর্ক এবং বিয়ে উঠে এসেছিল খবরের শিরোনামে।

টিনা এবং আতাহারের বিয়েতে হাই প্রোফাইল অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্র এবং রাজ্যের মন্ত্রী, আধিকারিকরাও তাঁদের আমন্ত্রণ রক্ষা করেছিলেন। কিন্তু সেই সম্পর্ক টেকেনি। ২০২১ সালে দু’জনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সেই অতীতকে পিছনে ফেলেই নতুন জীবনে প্রবেশ করলেন টিনা।

টিনার পুনর্বিবাহ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি আতাহার। আগের মতোই নেটমাধ্যমে সক্রিয় তিনি। তবে ইদানীং তাঁকে নিয়ে উৎসাহ চোখে পড়ছে মহিলাদের মধ্যে। ইনস্টাগ্রাম কমেন্টে চোখ রাখলেই তা বোঝা যায়।