এক্সপ্লোর
History of Makeup: প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবহার, তাও চরিত্রের মাপকাঠি ছিল সাজগোজ, মেকআপ সেই ছুঁৎমার্গ কাটিয়ে উঠল কী করে?
Makeup History: অনেক পথ পেরিয়ে আজ এই জায়গায়। জেনে নিন মেকআপ-এর ইতিহাস। ছবি: ফ্রিপিক।
ছবি: ফ্রিপিক।
1/11

সাজসজ্জা কারও হাতে শিল্প হয়ে ওঠে। কেউ আবার একেবারেই অজ্ঞ। কিন্তু প্রসাধনী বা মেকআপের সঙ্গে আমরা সকলেই ওয়াকিবহাল। বাজার বুঝে তাই মেকআপ নিয়ে ব্যবসায় নেমেছেন তাবড় তারকা।
2/11

কিন্তু এই মেকআপ-এর ইতিহাস জানেন কি? সাধারণ মানুষ অবাক হলেও, মেকআপ-এর ইতিহাস কিন্তু যথেষ্ট চমকপ্রদ। সেই ইতিহাস সমসাময়িক সমাজব্যবস্থাকেও বুঝতে সাহায্য় করে।
3/11

আজ থেকে প্রায় ৬০০০ বছর আগে মেকআপ-এর সূচনা। প্রাচীন মিশরে মেকআপ-এর চল ছিল। সেখানে আভিজাত্যের প্রতীক ছিল মেকআপ। ঈশ্বরকে তুষ্ট করার উপায় হিসেবেও গণ্য হতো।
4/11

খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ সালেও মেকআপ-এর চল ছিল। সেই সময়কার শিল্পকর্মে তাই নারী-পুরুষ, উভয়ের চোখেই মোটা আই-লাইনার চোখে পড়ে। পাওডার মাখার চলও ছিল। মহিলারা চোখের উপর সবুজ আইশ্যাডো-ও লাগাতেন, যার মাধ্যমে সূর্যের দেবতা Re/Ra এবং আকাশের দেবতা Horus-এর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা হতো।
5/11

বাইবেলেও মেকআপ-এর উল্লেখ রয়েছে। ইহুদি এবং খ্রিস্টান, দুই জাতির বাইবেলের ক্ষেত্রেই একথা প্রযোজ্য। মেকআপ-এর সাহায্য়ে চোখ বড় করে দেখানোর উল্লেখ রয়েছে The Book of Jeremiah-তে।
6/11

প্রাচীন রোমে মেকআপ বিদ্বেষও ছিল। তবে তার সঙ্গে ধর্মের কোনও যোগ ছিল না। নারী-পুরুষ সকলেই সাবান, ডিওডোব়্যান্ট, ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতেন। কিন্তু গাল ও ঠোঁট লাল করার রং নিয়ে ছুঁৎমার্গ ছিল। সেগুলিকে যৌনকর্মীরাদের সাজগোজ বলে ধরা হতো।
7/11

মেকআপ নয়, চেহারার স্বাভাবিক সৌন্দর্যই গুরুত্ব পেত প্রাচীন রোমে। সেই সময়কার কবিতা, নাটকে মেকআপ ব্যবহারকারীদের ব্যঙ্গ-বিদ্রুপও করা হয়।
8/11

মেকআপ নিয়ে প্রাচীন রোমের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল রক্ষণশীল। মেকআপ-কে নৈতিকতা, মানবিকতার পরিপন্থী বলে মনে করা হতো। শারীরিক সৌন্দর্যকে অস্বীকার না করলেও, সৌন্দর্যের বিচার হতো নৈতিকতার নিরিখে। তা সত্ত্বেও বহু মানুষ মেকআপ ব্যবহার করতেন। মেকআপ নিয়ে একই মানসিকতা ছিল প্রাচীন গ্রিসের।
9/11

কিন্তু বাইজান্তিন সাম্রাজ্যে মেকআপ অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। আন্তর্জাতিক মহলেও মেকআপের প্রতি তাদের অনুরাগের কথা ছড়িয়ে পড়েছিল সেই সময়। এর জন্য নবজাগরণকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। ইতিহাসবিদরা জানিয়েছেন, নবজাগরণের সময় সবরকমের শারীরিক গঠন, সৌন্দর্যকে আপন করে নেন মানুষজন। চুল রং করা, পাওডার মাখা স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। কিন্তু প্রসাধনী তৈরি করতে বিষাক্ত উপাদান মেশানো হতো, যার দরুণ ক্ষতিও হতো।
10/11

১৯ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ব্রিটেনের রানি ভিক্টোরিয়া মেকআপ-এর বিরোধিতা করেন। মেকআপ-কে তিনি ‘উগ্র’ আখ্যা দেন। ফলে মেকআপ-এর ব্যবহার কমে যায়। যদিও গোপনে মেকআপ ব্যবহারের চল ছিল।
11/11

তবে ১৯২০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই মেকআপ-এর সার্বিক ব্যবহার শুরু হয়। লাল লিপস্টিক, গাঢ় আই-লাইনার ব্যবহারের হিড়িক দেখা যায় সেই সময়। প্রসাধনীর বাজারও ফুলেফেঁপে উঠতে শুরু করে। বর্তমানে মেকআপ আর বিলাসিতা নয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস হয়ে উঠেছে।
Published at : 31 Aug 2025 03:39 PM (IST)
আরও দেখুন
Advertisement
Advertisement























