"পৃথিবীর কোনও শক্তিশালী দেশ আমাদের এক ইঞ্চি জমিও কেড়ে নিতে পারবে না", লাদাখে রাজনাথ

ট্যাঙ্কের সামনে দাঁড়িয়ে সেনা অফিসারদের সঙ্গে ছবি তুললেন। হাতে তুলে নিলেন মেশিন গান।

চলতি মাসের ৩ তারিখ তাঁর লাদাখ যাওয়ার কথা ছিল! কিন্তু, হঠাৎ‍ই তাঁর পরিবর্তে পৌঁছে গেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি! এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ এবং সেনাপ্রধানের সঙ্গে লাদাখে পৌঁছলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।

আকাশে উড়ল আমেরিকার কাছ থেকে কেনা অ্যাপাচে যুদ্ধবিমান। প্যাংগং লেকের ধারে সেনা কর্তাদের সঙ্গে বসে ভারতীয় সেনার মহড়া দেখলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

রাজনাথ বলেন, সম্প্রতি পিপি ১৪-এ ভারতীয় জওয়ান ও চিনাবাহিনীর মধ্যে যা ঘটেছে, তাতে সীমান্ত রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন আমাদের বেশ কিছু জওয়ান। আজ এখানে এসে ভাল লাগলেও, তাঁদের মৃত্যুতে শোকাহত আমি। ওঁদের শ্রদ্ধা জানাই।’’

বাহিনীর উদ্দেশে বক্তৃতায় রাজনাথ সিংহ বলেন,‘‘আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত বিরোধ মেটানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু তা কতটা মেটানো যাবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না। তবে একটা কথা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি, পৃথিবীর কোনও শক্তিশালী দেশ আমাদের এক ইঞ্চি জমিও কেড়ে নিতে পারবে না। তবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে, তার চেয়ে ভাল কিছু হয় না।’’

ঘুরিয়ে বার্তা দিলেও, কেন একবারও বেজিংয়ের উদ্দেশে সরাসরি বার্তা দিতে শোনা গেল না তাঁকে কিংবা প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে?

কিন্তু, বিরোধীদের প্রশ্ন একটাই, চিনা সেনাবাহিনীর হাতে ভারতের বীর জওয়ানদের মৃত্যুর পর এক মাস কেটে যাওয়ার পরও, একবারও কেন চিনের নামটুকু মুখে উঠে এল না মোদির?

১৫ জুন চিনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে গালওয়ানে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান প্রাণ হারান। এদিন তাঁদের প্রতিও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।