Radio Telescope on Moon: চাঁদের মাটিতে বসবে বিশালাকার টেলিস্কোপ, ব্রহ্মাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে নয়া উদ্যোগ NASA-র

NASA News: ব্রহ্মাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে নয়া উদ্যোগ। ছবি: ফ্রিপিক।

ছবি: ফ্রিপিক।

চাঁদের মাটিতে রেডিও টেলিস্কোপ বসানো হবে। সেই পরিকল্পনাই করছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA.

চাঁদের অন্ধকার পিঠে বসানো হবে ওই রেডিও টেলিস্কোপ। প্রায় এক মাইল চওড়া একটি গহ্বরকে তার জন্য পছন্দ হয়েছে বিজ্ঞানীদের।

চাঁদের মাটিতে বসানো হবে বলে Lunar Crater Radio Telescope নাম রাখা হয়েছে প্রকল্পের। ব্রহ্মাণ্ডের রহস্য এবং বেসরকারি কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে নির্গত বিকিরণের কী প্রভাব পড়ছে, তা বুঝতে চান বিজ্ঞানীরা। বেসরকারি স্য়াটেলাইট থেকে নির্গত বিকিরণ পৃথিবীর রেডিও অ্যাস্ট্রনমিকে প্রভাবিত করতে পারে বলে আশঙ্কা। তাই এই প্রচেষ্টা।

চাঁদের মাটিতে প্রস্তাবিত রেডিও টেলিস্কোপটি রোবট দিয়েই বসানো হবে বলে জানা যাচ্ছে। গহ্বরের উপর বসিয়ে তার দিয়ে বাঁধা হবে সেটিকে।

পুয়ের্তো রিকোতে যেমন ভিনগ্রহীদের সন্ধান পেতে Arecibo Telescope বসানো হয়েছিল, চিন যেমন ৫০০ মিটারের Aperture Spherical Telescope ব্য়বহার করে, চাঁদের মাটিতে অনুরূপ টেলিস্কোপ বসাতে চায় NASA, যার মাধ্যমে নজরদারি চলবে আকাশেও।

পাশাপাশি, মহাকাশে যে হারে কৃত্রিম উপগ্রহের সংখ্য়া বেড়ে চলেছে, তাতে মহাকাশে আবর্জনার পরিমাণ যেমন বাড়ছে, তেমনই রাতের আকাশে বাড়ছে আলোর দূষণ, ছড়াচ্ছে বিকিরণ। এতে পৃথিবী থেকে মহাকাশ অধ্যয়নেও বাধা সৃষ্টি করতে পারে।

NASA-র Jet Propulsion Laboratory এই মুহূর্তে প্রকল্পটির সবদিক খতিয়ে দেখছে। ২০২০ সালেই চাঁদের মাটিতে টেলিস্কোপ বসানোর প্রস্তাব ওঠে। প্রথম পর্য়ায়ে ১৫০০০০ ডলার অর্থও বরাদ্দ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে বরাদ্দ করা হয় ৫০০০০০ ডলার।

এই মুহূর্তে তৃতীয় ধাপের কাজ চলছে। একটি প্রোটোটাইপ বানানো হচ্ছে প্রস্তাবিত টেলিস্কোপের, যা চলতি বছরেই পরীক্ষা করে দেখা হবে। তৃতীয় ধাপেই সরকারের থেকে অনুমোদন আদায় করতে হবে। তবেই চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ শুরু করতে পারবেন বিজ্ঞানীরা।

টেলিস্কোপ বসানোর জন্য় চাঁদের উত্তর মেরুর একটি গহ্বর পছন্দ হয়েছে বিজ্ঞানীদের। ১৯৮৪ সালেও চাঁদের মাটিতে টেলিস্কোপ বসানোর প্রস্তাব উঠেছিল আমেরিকায়।

এখনও পর্যন্ত সেই পরিকল্পনায় অনুমোদন দেয়নি আমেরিকার সরকার। তবে অনুমোদন মিললে ২০০ কোটি ডলারের বেশি খরচ পড়বে।। ২০৩০ সাল নাগাদ টেলিস্কোপ বসানো সম্ভব হবে চাঁদের মাটিতে।