Earthquakes: ভারতে আরও বাড়বে ভূমিকম্প? কোন কোন অঞ্চলে লাল সতর্কতা রয়েছে?
Earthquake in India: ২০২২ সালের একটি সমীক্ষা বলছে যে হিমালয় অঞ্চলটি ভূমিকম্পের দিক থেকে সবচেয়ে সক্রিয়।
নয়া দিল্লি: চলতি বছরের শুরুতেই ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে শক্তিশালী ভূকম্প (Earthquake) অনুভূত হয়েছে। ২১ মার্চ যেমন ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল দিল্লি (Delhi)। যদিও কেন্দ্রস্থল ছিল আফগানিস্তান (Afghanistan)। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুসারে, আফগানিস্তানের ফয়জাবাদে রাত ১০টায় রিখটার স্কেলে প্রায় ৭.৫ মাত্রায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর কম্পন পাকিস্তান এবং জম্মু ও কাশ্মীর, পাঞ্জাব, হরিয়ানা সহ উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য জুড়ে অনুভূত হয়েছিল।
এরপরই বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে ঘন ঘন কম্পন এবং ভূমিকম্প হতে পারে ভারতের একাধিক এলাকায়। বিশেষ করে হিমালয় অঞ্চলের রাজ্যগুলির জন্য। ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। ২০২২ সালের একটি সমীক্ষা বলছে যে হিমালয় অঞ্চলটি ভূমিকম্পের দিক থেকে সবচেয়ে সক্রিয়। সিসমোগ্রাফি অনুযায়ী, হিমালয় অঞ্চলের বেশিরভাগ রাজ্য IV এবং V অঞ্চলে পড়ে । সিসমিক জোনিং ম্যাপ অনুসারে, জোন V-এ সর্বোচ্চ ভূমিকম্পের ঝুঁকি থাকে। মানচিত্র অনুসারে, কাশ্মীর উপত্যকা, হিমাচল প্রদেশের পশ্চিম অংশ, উত্তরাখণ্ডের পূর্ব অংশ, উত্তর বিহারের অংশ এবং সমস্ত উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলি V জোনে পড়ে।
আরও পড়ুন, সমুদ্রের তলদেশেও 'গ্লোবাল ওয়ার্মিং'? রেকর্ড হারে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে নতুন বিপদসঙ্কেত!
লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীরের অবশিষ্ট অংশ, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের কিছু অংশ, দিল্লি এবং সিকিম জোন IV-তে পড়ে। গুজরাট, পশ্চিম রাজস্থান, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জও ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের মধ্যেই পড়ে।
হিমালয়ের কোলে অতিরিক্ত বাড়ি বা বড়-বড় হোটেল এবং তার থেকে সৃষ্ট দূষণও যে ভূ-পৃষ্ঠের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং সেটিও ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভূ-বিশেষজ্ঞরা। যে কোনও সময় হিমালয় অঞ্চলে অনেক বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দুঃখজনক বিষয় হল ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হয় না। টেকটোনিক প্লেটগুলি যখন শক্তি ছেড়ে দেয় তখনই ভূমিকম্প হয়। ফলে জনসধারণকে সতর্ক করে দেওয়ার উপায় থাকে না।